ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অভিযোগপত্র গ্রহণ, শুনানি ২৫ অক্টোবর

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২২ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অভিযোগপত্র গ্রহণ, শুনানি ২৫ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। শুনানির জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস ছয় আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শুনানির এ তারিখ ঠিক করে দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আজ আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। ২৫ অক্টোবর শুনানির তারিখ ঠিক করেছেন। আজ জাবালে নূরের বাসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ ও চালক মো. জোবায়ের সুমনের পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- জাবালে নূরের বাসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেল্পার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম  ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী । এদের মধ্যে জাবালে নূর বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন। পলাতক ওই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটের ধারাগুলোর মধ্যে ৩০৪ ধারার খুন বলে গণ্য নয় এরূপ দণ্ডনীয় নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

দাখিলকৃত চার্জশিটে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় প্রকার আলামত জব্দ দেখানো হয়। যার মধ্যে ৩টি বাস এবং ৩টি ড্রাইভিং লাইসেন্স। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মামলাটি সিএমএম আদালত থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নামে দুই শিক্ষার্থী। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহতে মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ অক্টোবর ২০১৮/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়