অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পাচ্ছে ১৫ প্রতিষ্ঠান
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : দেশীয় ও বহুজাতিক ১৫টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সনদ পেতে যাচ্ছে।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে এ সনদ বিতরণ করবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
সনদের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি ক্যাটাগরিতে ইউনাইটেড হসপিটাল এবং ল্যাব এইড হসপিটাল। সরকারি ল্যাবরেটরি ক্যাটাগরিতে বিএসটিআইয়ের ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরি, আণবিক শক্তি কমিশন ল্যাবরেটরি, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ল্যাবরেটরি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যাবরেটরি (পদ্মা সেতুর মান নিয়ন্ত্রণকারী ল্যাব)।
বহুজাতিক ল্যাবরেটরির ক্যাটাগরিতে এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং তুরস্কভিত্তিক টেমাকোস ফ্যাশন ওয়্যার ল্যাবরেটরি।
বেসরকারি শিল্পল্যাব ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন বিডি লিমিটেড এবং প্রাণ গ্রুড ল্যাবরেটরি। এছাড়া, দেশীয় আরো কয়েকটি ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পাবে।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে পণ্য ও সেবা আমদানি কিংবা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়ে থাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা হলো অ্যাক্রেডিটেশন। কোনো পণ্য অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির সনদপ্রাপ্ত হলে, তা বিশ্বব্যাপী অনায়াসে গ্রহণযোগ্য হয়। যেকোনো দেশে বিনা বাধায় সে পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয়। এ বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা উৎপাদনের লক্ষ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় মান অবকাঠামোর আধুনিকায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
নতুন এসব ল্যাবরেটরি ও ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশন সনদের মানে উন্নীত হওয়ায় দেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা বেগবান হবে। এর মাধ্যমে সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ, শ্রমঘন এসএমই খাতের বিকাশ, ভারী ও মৌলিক শিল্পকেন্দ্রিক বহুমাত্রিক সংযোজন শিল্প স্থাপন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতের প্রসার, স্থানীয় কাঁচামাল নির্ভর ক্লাস্টার ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের মত লক্ষ অর্জন সহজ হবে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জানুয়ারি ২০১৯/নাসির/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন