ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আট ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আট ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাত্র আট ব্যক্তির কাছে বিশ্বের অর্ধেক মানুষের সমান সম্পদ রয়েছে। সীমাহীন এই বৈষম্য সমাজের ভঙ্গুর দশার প্রতীক।

সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনের আগে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে দাতব্য সংস্থা অক্সফাম।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আমেরিকার ছয়জন, স্পেনের একজন ও মেক্সিকোর একজন- এই আটজনের কাছে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, সেই একই পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বিশ্বের ৩৬০ কোটি দরিদ্র মানুষের কাছে।

সম্পদশালী আট ব্যক্তিকে ফোর্বস ম্যাগাজিনের শীর্ষ ধনীর তালিকা থেকে বেছে নিয়েছে অক্সফাম। এর মধ্যে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস রয়েছেন। অন্যরা হলেন : স্পেনের ব্যবসায়ী ইন্ডিটেক্স ফ্যাশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আমানসিও ওর্তেগা, যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট, মেক্সিকোর ব্যবাসীয় কার্লোস স্লিম, মার্কিন ব্যবসায়ী লরেন জোসেফ এলিসন (সংক্ষেপে ল্যারি এলিসন) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক মাইকেল ব্লুমবার্গ।

ধনী ও গরিবের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্যের চিত্র সামনে আনা এবং এ বিষয়ে উদাসীন বিশ্বের মূলধারার রাজনীতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের প্রয়াস থেকে অক্সফাম তথ্য তুলে ধরেছে।

অ্যান ইকোনমি ফর দি নাইনটি নাইন পার্সেন্ট (৯৯ শতাংশের অর্থনীতি) শীর্ষক প্রতিবেদনে অক্সফাম বলেছে, ‘ব্রেক্সিট থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযান, যা জাতিগত ভীতি বাড়িয়েছে এবং মূলধারার রাজনীতি থেকে মানুষের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া থেকে ক্রমেই প্রতীয়মান হচ্ছে, ধনী দেশগুলোর বেশির ভাগ মানুষ বিদ্যমান অবস্থা আর সহ্য করে নেওয়ার পক্ষে নেই।’

বিভিন্ন দেশের বিশেষ করে চীন ও ভারতের মানুষের মধ্যে সম্পদ বণ্টনের নতুন তথ্য-উপাত্ত অক্সফামকে তাদের আগের বছরের হিসাব পুনর্মূল্যায়নে ধাবিত করেছে। গত বছর তারা এক প্রতিবেদনে জানায়, মাত্র ৬২ ব্যক্তির হাতে রয়েছে বিশ্বের অর্ধেক মানুষের সমপরিমাণ সম্পদ। এ বছরের চিত্র আরো চমকপ্রদ। ৬২ নয়, মাত্র আট ব্যক্তির কাছে রয়েছে বিশ্বের অর্ধেক মানুষের সমান সম্পদ।

ডাভোসে বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলন। এতে যেসব ইস্যু গুরুত্ব পাবে, তার মধ্যে থাকবে বৈষম্য। রাজনীতি ও অর্থনীতির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেবেন এই সম্মেলনে।

ধনী ব্যক্তি ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ওপর কর বাড়ানো এবং করপোরেট কর হ্রাসে দেশে দেশে প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম। 

এবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের স্লোগান দেওয়া হয়েছে, ‘রেসপনসিভ অ্যান্ড রেসপনসিবল লেডারশিপ’ (সাড়াপূর্ণ ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব)।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়