আতিয়া মহলে প্যারা-কমান্ডো

প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেটে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহলের চারদিকে অবস্থান নিয়েছেন সেনাবাহিনীর বেশ কিছু প্যারা-কমান্ডো সদস্য।

শনিবার সকাল ৮টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর তারা তৎপরতা শুরু করেন। প্যারা-কমান্ডো দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল কায়সার।

প্যারা-কমান্ডোদের সঙ্গে আছেন পুলিশের সোয়াত টিমের সদস্যরা। এ ছাড়া বাইরে আছেন পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই, ডিবি, এসবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শত শত সদস্য।

এদিকে, সকাল ৮টার দিকে বাড়িটির গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বাড়ির এক কিলোমিটারের মধ্যে সাংবাদিকসহ কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হচ্ছে না। আশপাশে রাখা হয়েছে সাজোয়া যান, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।

গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আতিয়া মহল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উস্তার আলী নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন পাঁচতলা ওই ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে নারীসহ একাধিক ‘জঙ্গি’ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ওই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নারী ও পুরুষ ‘জঙ্গি’ শুক্রবার দুপুরের পর দ্রুত সোয়াত ফোর্স পাঠাতে বলেছিল। তারা বলেছিল, ‘তোমরা (পুলিশ) শয়তানের পথে, আমরা আল্লাহর পথে। দেরি কেন, দ্রুত সোয়াত ফোর্স পাঠাও।’

শুক্রবার বিকেল ৪টার কিছু আগে ঢাকা থেকে অতিরিক্ত উপকমিশনার আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশের সোয়াত টিম। এর কিছুক্ষণ পর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা আসেন ঘটনাস্থলে। সন্ধ্যার দিকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়। রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে মেজর রোকন ও মেজর রাব্বির নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ইউনিটের একটি দল। রাতে সার্চ লাইট দিয়ে আলোকিত করে রাখা হয় পুরো বাড়িটি। নিরাপত্তা সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এ ছাড়া সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকদের রাখা হয় প্রস্তুত। তবে ‘জঙ্গিদের’ ফ্ল্যাটে চূড়ান্ত অভিযান আর হয়নি।

এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করা হয় বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।

বাড়িটির মালিক উস্তার আলী জানিয়েছেন, প্রায় তিন মাস আগে একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে নিচতলার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন কাওছার ও মর্জিনা নামের দম্পতি।




রাইজিংবিডি/সিলেট/২৫ মার্চ ২০১৭/কামাল/উজ্জল/শাহনেওয়াজ