ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে আরো ৫ মামলা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ১২ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে আরো ৫ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচ মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।

চোরাচালানের মাধ্যমে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার ও ডায়মন্ড আটকের ঘটনায় কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখায় শনিবার মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে আজ গুলশান থানায় দুটি (মামলা নং ১৫ ও ১৬), ধানমন্ডি থানায় একটি (মামলা নং ১০), রমনা থানায় একটি (মামলা নং ২৭) ও উত্তরা থানায় একটি করে (মামলা নং ১৭) মোট পাঁচটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলোর বাদীরা হলেন- শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে- এম আর জামান বাধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মামলার অভিযুক্তরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ তিনজন যথাক্রমে দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদ।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা ২(ঠ) এবং কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯-এর ধারা ১৫৬(৫) অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দা এই মানিলন্ডারিং মামলাগুলোর তদন্ত করে।

এর আগে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে শুল্ক-করাদি ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদ করার অভিযোগে দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী কাস্টম হাউস ঢাকায় পাঁচটি কাস্টমস মামলা তদন্তাধীন  রয়েছে।

এছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার মজুদ, মেরামত, তৈরি, বিক্রয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটগুলো কাজ করছে। আয়কর নথিতে অপ্রদর্শিত স্বর্ণ দেখানোর কারণে সংশ্লিষ্ট আয়কর জোনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তাছাড়া চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি, মানিলন্ডারিং, ভ্যাট ফাঁকি, আয়কর ফাঁকি ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূতভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনজনিত দুর্নীতি হওয়ায় দুদক আইনে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা আরো জানায়, আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা স্বর্ণের অর্থ অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ আয়কর নথিতে প্রদর্শন না করে এর উৎস গোপন করেছেন।

তাদের এসব কার্যকলাপ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা-২ এর (ফ)(ই) এবং ২(শ)(১৮) অনুযায়ী মানিলন্ডারিং হিসেবে বিবেচিত, যা একই আইনের ধারা-৪ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।

বনানীর একটি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের অলঙ্কার উদ্ধার করে। পরে এসব অলঙ্কার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ আগস্ট ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়