ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে সময় পেল পাঁচ দল

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১৪ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে সময় পেল পাঁচ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল পাঁচটি দল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে ইসি।

সোমবার ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সময় চাওয়া দলগুলোর মহাসচিব বরাবর চিঠি দিয়ে সময় বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।

৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের কাছে ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেযেছিল ইসি। ৩৫টি দল নির্ধারিত সময়ে হিসাব জমা দেয়। ইসির কাছে সময় চেয়ে আবেদন করে পাঁচটি রাজনৈতিক দল।

অতিরিক্ত সময় চাওয়া দলগুলো হচ্ছে- বিকল্পাধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট।

ইসি সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ১৫টি দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় গত ৩১ জুলাই। ৩০ জুলাই সাতটি দল, ২৭ জুলাই পাঁচটি দল, ২৫ জুলাই দুটি দল এবং ৯, ১০, ১১, ২৩ ও ২৪ জুলাই একটি করে দল হিসাব জমা দেয়।

তবে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১২টি দল প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেনি।

ওই ১২ দলকে প্রতি পাতায় নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ, দলের উপযুক্ত পদধারীর স্বাক্ষর ও সিলসহ পুনরায় ৩১ আগস্টের মধ্যে অডিট রিপোর্ট দিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে জানান ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম।

এই ১২ দল হল- ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় ও ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হবে। কমিশন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে আয়-ব্যয়ের হিসাবের ফরম দেওয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি খাত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট তথ্য তারিখসহ উল্লেখ করতে হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক লেনদেনের হিসাব প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে দলের হিসাব অডিট করাতে হবে। এ হিসাবে সদস্য সংগ্রহসহ কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনে জমা দিতে হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ এর ৯০-এইচ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী নিবন্ধিত কোনো দল যদি পরপর তিন বছর কমিশনে আয়-ব্যয়ের তথ্য দিতে ব্যর্থ হয় তবে সে দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ আগস্ট ২০১৭/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়