ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ইউনিসের চোখ শেষ মাইলফলকে

রাব্বি খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১২, ১৭ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইউনিসের চোখ শেষ মাইলফলকে

রাব্বি খান : পাকিস্তান ক্রিকেটের এক স্বর্ণালী অধ্যায়ের অবসান হতে চলেছে ব্যাটসম্যান ইউনিস খানের অবসরের মধ্য দিয়ে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পাকিস্তানের কিংবদন্তি অনেক ব্যাটসম্যানই এসেছেন। ইমরান খান থেকে জহির আব্বাস, ওয়াসিম আকরাম থেকে জাভেদ মিয়াদাদ প্রত্যেকরই রয়েছে কম বেশী রেকর্ড। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ-ই এমন মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি।

তবে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ১০ হাজার রানের মাইল ফলকের খুবই কাছে ৩৯ বছর বয়সী ইউনিস। ক্রিকেট বিশ্বে সাদা পোশাকে এখন পর্যন্ত ১২ জন ব্যাটসম্যান ১০ হাজার রান বা তার বেশি রান করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু এই তালিকায় নেই কোন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।

১০ হাজার রানের মাইলফলক থেকে আর মাত্র ২৩ রান দূরে তিনি। রোববার থেকে সাবিনা পার্কে শুরু হওয়া তিন ম্যাচ টেস্টের প্রথমটিতেই হয়তো এই অপেক্ষার অবসান হতে পারে পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিকের।

পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের অবসর ঘোষণার মাত্র দু’দিন পরেই সব ধরণের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন পাকিস্তানি তারকা ব্যাটসম্যান ইউনিস খান। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০১৫ সালে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। এবার বিদায় বলতে যাচ্ছেন টেস্ট ক্রিকেটকেও।

তাছাড়াও পাকিস্তানি এ ব্যাটসম্যান ২০১৫ সালে আবুধাবিতে জাভেদ মিঁয়াদাদকে পেছনে ফেলে টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। তখনই ভেবেছিলেন অবসর নেওয়ার বিষয়টি। কিন্তু নেননি নতুন সতীর্থদের কথা ভেবে।

কেননা টেস্ট ক্রিকেটে সতীর্থদের কাছে তিনি রোল মডেল। তাকে দেখেই তো শিখবে তরুণরা। এই কথা ভেবেই তখন অবসর নেননি তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি সিদ্ধান্ত নেয় ১০ হাজার রান করার পরই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজেই শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে তাকে। এই টেস্ট সিরিজেই পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে চান ইউনিস।

২০১৫ সালে ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার আগে খেলেছেন ২৬৫টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই সাথে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কও ছিলেন তিনি।

২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এর পরের ১৭টি বছর জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়ে গেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১১৫টি টেস্ট খেলেছেন। যেখানে ৫৩.০৬ গড়ে করেছেন ৯ হাজার ৯৭৭ রান। নিজের প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি করে ক্রিকেটবিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।

তাই বলা যায়, পাকিস্তান ক্রিকেটের এক স্বর্ণালী অধ্যায়ের অবসান ঘটতে যাচ্ছে ইউনিস খানের অবসরের মধ্য দিয়ে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ এপ্রিল ২০১৭/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়