ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ইউসুফ আবার হেসে খেলে বেড়াতে চায়

রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইউসুফ আবার হেসে খেলে বেড়াতে চায়

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা : বছর খানেক আগে ইউসুফ মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে পড়ে মেরুদন্ডে ব্যথা পায়। সেই ব্যথা এখন হয়ে উঠেছে তার জীবন-মরণের প্রশ্ন।

ছোট্ট ইউসুফ খুব বেশি ভাল-মন্দ বুঝতে না পারলেও সে যে দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছে এটা ভালভাবেই বুঝতে পারে।

খেলতে গিয়ে যখন মেরুদন্ডে ব্যথা পেয়েছিল বাড়িতে সব চেপে গিয়েছিল ইউসুফ। অভাবের সংসার ব্যথার কথা বাড়িতে বললে তার জন্য সবাই চিন্তা করবে বা তার চিকিৎসায় অর্থ ব্যয় হবে ভেবে আর কাউকে জানায়নি। সর্বদা হাস্যোজ্জল কিশোর ইউসুফের সেই ব্যথা এখন অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক। মরণের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন ব্যথায় কাতরানোই যেন তার নিয়তি।

ইউসুফ সুস্থ হতে চায়। ইউসুফ বাঁচতে চায়। ইউসুফ আর ক’জন কিশোরের মতো হেসে খেলে বেড়াতে চায়। কিন্তু সে সাধ কি পূরণ হবে ইউসুফের?

ওর পুরো নাম মো. ইউসুফ মিয়া (১৪) । গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর.আর.এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শেণিতে পড়ছে। বাবা মো. আব্দুল আলী ঢাকায় রিক্সা চালান। মা মরিয়ম বেগম যখন বুঝতে পারলেন ৪ সদস্যের সংসার স্বামীর একার রোজগারে চালানো সম্ভব নয়, তখন তিনিও স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে নারী শ্রমিকের কাজ শুরু করেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, তার মেরুদন্ডের হাড় বাঁকা হয়ে গেছে। তাদের ভাষায় এটাকে ‘কালিওসি’ রোগ বলে। তা থেকে উত্তরণের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে। কিন্তু ইউসুফের দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ চিকিৎসা ব্যয় চালানো সম্ভব নয়। এ কারণে মানুষ মানুষের জন্য শ্লোগানে স্থানীয় এক ঝাঁক তরুণ ইউসুফকে বাঁচাতে কাজ করছে। তারা রাস্তা-ঘাটে, স্কুল-কলেজে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। কিন্তু তারা মনে করছেন যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সংগ্রহকৃত অর্থ সে তুলনায় খুবই নগণ্য। এ জন্য তারা ইউসুফকে বাঁচাতে দেশের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। পাশাপাশি বিত্তবান ও প্রবাসী ভাই-বোনদের কাছেও অনুরোধ করেছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।

সাহায্য পাঠাতে পারেন ইউসুফের মা মরিয়মের নামে সিটি ব্যাংকের কালীগঞ্জ শাখায় খোলা হিসাব নম্বরে (৭৭৭২১৮২৪৯২২১৯০০১) অথবা ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে (০১৯৫২৭০৩৬৭৭)।

ইউসুফের মা মরিয়ম জানান, তার ছেলের মরুদন্ডের সমস্যা ছাড়া টাইফয়েড, বাতজ্বর ও শিরে একটি ক্ষতের ইনফেকশন ধরা পড়েছে। তার এ রোগের চিকিৎসায় যে পরিমাণ অর্থ দরকার তাদের তা নেই। তাছাড়া সম্পদ বলতেও কিছু নেই যা বিক্রি করে চিকিৎসা করাবে। থাকার মধ্যে আছে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী গ্রামে বসতের এক টুকরো জমি। এখন প্রধানমন্ত্রী কিংবা সমাজের বিত্তবান কেউ তার ছেলের সাহায্যে এগিয়ে এলে তাকে বাঁচানো সম্ভব।      



রাইজিংবিডি/ কালীগঞ্জ (গাজীপুর) /১ এপ্রিল ২০১৯/রফিক সরকার/শাহ মতিন টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়