ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘ঈর্ষান্বিত হয়ে বঙ্গবন্ধু হত‌্যায় জিয়াকে জড়ানো হচ্ছে’

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ১৭ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ঈর্ষান্বিত হয়ে বঙ্গবন্ধু হত‌্যায় জিয়াকে জড়ানো হচ্ছে’

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঈর্ষান্বিত হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানকে জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জাতীয় শোক দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার এক দোয়া মাহফিলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

গত ৮ আগস্ট লন্ডনের মুরফিল্ড চক্ষু হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডান চোখে অস্ত্রোপচারের পর তার আরোগ্য কামনায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) উনি (শেখ হাসিনা) মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়াতে চেয়েছেন অনেকের নাম, অনেকের কথা উনি বলার চেষ্টা করেছেন। আপনি জিয়াউর রহমানের কথা বলেন, তার নাম আপনি বারবার টেনে আনেন কেন? প্রধানমন্ত্রী আপনি কি ভুলে গেছেন, তখন সেনাবাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান ছিলেন না। তিনি (জিয়াউর রহমান) দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন। তার করার কী আছে? সেনাপ্রধানের কথার বাইরে উনি কী করতে পারেন। আপনার সব ঈর্ষা-ক্ষোভ। আজকে আওয়ামী লীগের চেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি, তার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই ঈর্ষার কারণে বারবার আপনার পিতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের কথা আপনি বলেন।’

বুধবার জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে খুনিরা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। এটা একটা বিরাট ষড়যন্ত্র ছিল। দুর্ভাগ্য যে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত খুনি মোশতাক। আর খুনি মোশতাকের দোসর ছিল জিয়াউর রহমান। খুনি মোশতাক অবৈধভাবে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেয়, আর জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করে। তার কতটা ঘনিষ্ঠ ছিল যে, তাকেই সেনাপ্রধান হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে মোশতাক নিয়োগ দেয় ‘

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শফিউল্লাহ সাহেব যিনি ওই দিন রাষ্ট্রপতিকে বলেছেন, প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। কী সুপুরুষ, কী বীরপুরুষ শফিউল্লাহ সাহেব? একজন কাপুরুষ কমান্ডার সেদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। তাকে পরে আপনি ডেকে নিয়ে এসে এমপি বানিয়েছেন। আপনি তো তার কথা একবারও বলেননি।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আপনি কোন লজ্জায় এইচ টি ইমামকে আপনার উপদেষ্টা বানিয়েছেন? আপনার পিতার রক্তাক্ত লাশ ডিঙিয়ে যে খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন। এটা কালকের (বুধবার) বক্তৃতায় আপনি বলেননি। আপনি বলেননি যেসমস্ত এমপিরা পরবর্তীতে খন্দকার মোশতাকের পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন তাদের কথা। প্রকৃত হত্যাকারী যারা তাদের বিষয়ে আপনার কোনো ক্ষোভ নেই। ক্ষোভ শুধু জিয়াউর রহমানের ওপর।’

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে রাঘববোয়ালরা জড়িত। দুর্বল তদন্তের কারণে তাদেরকে ধরা যায়নি। এই রাঘববোয়াল কে? এরা এখনো আপনার ডানে আছে, আপনার বামে আছে। এরা আপনাদের সাথে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এদেরকে ধরবেন না?’

দোয়া মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, জ্যেষ্ঠ নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান, সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, কেন্দ্রীয় নেতা ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আবদুল মতিন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, এ জে শামসুল হকসহ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ আগস্ট ২০১৭/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়