ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

উই অ্যার ওয়েটিং ফর দ্য রিপোর্ট: দুদক চেয়ারম্যান

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩০, ২১ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উই অ্যার ওয়েটিং ফর দ্য রিপোর্ট: দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান  ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, উই অ্যার ওয়েটিং ফর দ্য  রিপোর্ট। যেহেতু মিনিস্ট্রি কাজ করছে, আমরা তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে দেখব। তারপরে যদি দেখি ইনগ্রেডিয়েন্স আছে সেখানে ডেফিনেটলি আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ভবনের আসবাবপত্র ক্রয়ে ‘অতিরিক্ত ব্যয়’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কথা হলো দুর্নীতি হয়েছে বা হয়নি। গণমাধ্যমের যে তথ্য সেখানে আমি দেখেছি। বালিশ, কেতলি এসকল বিষয়। দেখেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু প্রসিডিউর আছে। একটা রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তো জাম্প দিতে পারি না। সেটা দেখতে হয়, বুঝতে হয়, চারদিক দেখতে হয়। আমরা ইতিমধ্যে কথা বলেছি, জেনেছি যে অলরেডি দুইটি কমিটি কাজ করছে। পত্রিকায় যে নিউজ সেটিও আমাদের কাছে এসেছে। এসব দেখে আমি একটা অর্ডার করেছি। সেই অর্ডারটি হল- সেই তদন্তে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।’

তিনি বলেন, সবাই যদি একই জিনিস নিয়ে কাজ করতে থাকি তাহলে জিনিসটা ভাল দেখায় না। তারা কী রিপোর্ট দেয়, সেই রিপোর্ট দেখে তখন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মন্ত্রণালয়ের কনক্লুশেন কী হয়, কারণ এটা সত্য নাও হতে পারে। সব রিপোর্ট যে সত্য তাও তো না।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের কতগুলো প্রজেক্ট আছে যেগুলো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে হঠাৎ করে আপনি জাম্প করবেন, সেখানে চিন্তা-ভাবনা করতে হয়। এটা জাতীয় বিষয়, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বহুদিন ধরে চলছে। কিন্তু এটার বাস্তবায়নের কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের  ও গুরুত্বপূর্ণ। সো জাস্ট ওয়েট। টেলিভিশনে দেখলাম একজন মন্ত্রী বলছেন যে, বেতন-ভাতা এগুলো সঠিক নয়। বালিশের ক্ষেত্রে এরকম একটা পরিস্থিতি তো হতেও পারে।’

গত ১৯ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কেনাকাটায় অনিয়ম খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার পেমেন্ট বন্ধ রাখা হবে। এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নির্দেশনা প্রদান করেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়