ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে নতুন মুদ্রানীতি

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে নতুন মুদ্রানীতি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতির (জুলাই-ডিসেম্বর) কারণে বেসরকারি খাতে বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এরই মধ্যে ঘোষিত মুদ্রানীতির এ বিশেষ সুযোগ নিতে শুরু করেছে। বেসরকারি খাত সহায়ক এমন মুদ্রানীতির কারণে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে মুদ্রানীতি (জুলাই-ডিসেম্বর) শীর্ষক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, প্রবৃদ্ধি শুধু অর্থ সরবরাহের ওপর নির্ভর করে না। বিনিয়োগকারীরা গ্যাস-বিদ্যুৎ পেলে আরো বেশি বিনিয়োগ হবে। এক্ষেত্রে মুদ্রনীতি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সরকারি ব্যাংকের খেলাপী ঋণ স্বাভাবিক নয়। এসব ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর মো. ইয়াছিন আলি, বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীবসহ সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার মূল আলোচক বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি খাত বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাবে। তবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের জন্য মুদ্রানীতির বাইরে আরো কিছু বিষয় রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার বাজেটে ঘোষণা দিয়েও প্রয়োজন না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ নিচ্ছে না। সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে বেশি অর্থ নিচ্ছে। এতো অর্থ নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক পর্যালোচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সঞ্চয়পত্র থেকে অনেক বেশি অর্থ নেওয়ার কারণে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে অনেকে এর ওপর নির্ভরশীল সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। এজন্য সঞ্চয়পত্রে সংস্কার আনা প্রয়োজন। গরীব এবং মধ্যবিত্তদের জন্য সেভিংস সার্টিফিকেট চালু করতে হবে। এতে সুদহার তুলনামূলক একটু বেশি রাখা যেতে পারে। অপর দিকে সেভিংস বন্ড হবে ধনীদের জন্য। এর সুদহার হবে ব্যাংক রেটের মতো।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮/নাসির/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়