উত্তরবঙ্গে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে জেবিআইসি
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি)।
বাংলাদেশ সফররত জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিআইসি) এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বৈঠককালে এ প্রস্তাব দেন। মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর ক্রমবর্ধমান ইউরিয়া সারের চাহিদা বিবেচনা করে এটি স্থাপন লাভজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নরসিংদীর পলাশে বাস্তবায়নাধীন ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের মতই উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্প হবে এটি।
বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, বাংলাদেশে ১৯৯০ সাল থেকে জেবিআইসি শিল্পখাতে বিনিয়োগ করে আসছে। এর মধ্যে কাফকো ফার্টিলাইজার প্রকল্প, ডিএপি ফার্টিলাইজার প্রকল্প এবং বিবিয়ানা গ্যাস ফায়ারড্ পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করছে।
তারা বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জেবিআইসি সব সময় পরিবেশ সংরক্ষণ ও কার্যকর প্রযুক্তি প্রয়োগের প্রতি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সড়ক, রেল ও বন্দর যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিকমিউনিকেশন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান সুষম আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। জেবিআইসি সম্প্রতি নরসিংদী জেলার পলাশে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রজেক্টে (জিপিইউএফপি)’ অর্থায়ন করছে।
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের নিশ্চিয়তা পেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শিল্পখাতে আরো বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানান তারা।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ নতুন সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর ক্রমবর্ধমান সারের চাহিদা মেটাতে সরকার উত্তরবঙ্গে একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বিসিআইসি ইতোমধ্যে উত্তরবঙ্গে একটি সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে প্রাক-সমীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা করে জাপানের যে কোনো বিনিয়োগ প্রস্তাবকে সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলেও জানান তিনি।
শিল্পমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট (জিপিইউএফপি)’ শেষ করতে জেবিআইসি’র কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় সব ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরণের সময়ক্ষেপণ মেনে নেওয়া হবে না।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জেবিআইসির নিউ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক ফুমিউ সুজুকি, উপদেষ্টা ইয়াসুয়ুকি ইয়ামাতু, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান প্রতিনিধি ইয়াসুকি কমিনামি, বিসিআইসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) মো. আমিন উল আহসান এবং ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের পরিচালক মো. রাজিউর রহমান মল্লিক ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ এপ্রিল ২০১৯/নাসির/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন