এখন বাউলরা লালনের নাম ভাঙিয়ে খায় : সাইদুর রহমান বয়াতি
জব্বার আল নাঈম || রাইজিংবিডি.কম
সাইদুর রহমান বয়াতি
সাইদুর রহমান বয়াতি দেশের ঐতিহ্যবাহী নাট্যরীতির বিভিন্ন আঙ্গিকের অন্যতম পালাকার, নির্দেশক এবং অভিনেতা। এগুলো ছাপিয়ে তার অন্যতম পরিচয় তিনি মরমি সাধক। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি ‘বাসুদেব অপেরা’ দলে যোগ দেন। সদ্য তরুণ বয়সে তিনি যাত্রাদলে নারীর ভূমিকায় অভিনয় করতেন। সে সময় নারী চরিত্রে রূপদানে দর্শকের বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়ার প্রত্যাশায় ‘ছবি রানী’ ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। আধ্যাত্মিক গানের ধারায় জারি, সারি, ভাটিয়ালি, বাউল, মারফতি, নবীতত্ত্ব, কবিগান, মুর্শিদি, গাজীর গান, মালসি, সখী সম্পাত, দমতত্ত্ব, সৃষ্টিতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব, পরমতত্ত্ব এমন প্রায় পঞ্চাশ পদের গান গেয়ে সজীব করেছেন বাঙালির প্রাণ। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী নাট্যধারায় মীর মশাররফ হোসেন রচিত `বিষাদসিন্ধু` অবলম্বনে `ইমাম যাত্রা`র পাণ্ডুলিপি রচনা, নির্দেশনাই শুধু নয়, অভিনয়েও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন।
সাইদুর রহমান বয়াতি বাংলা ১৩৩৮ সনের জৈষ্ঠ্য মাসে মানিকগঞ্জের হাসলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ‘নদীর নাম মধুমতি’, ‘লালসালু’, ‘লালন’, ‘লিলিপুটরা বড়ো হবে’ এবং ‘রাবেয়া’র মতো বিখ্যাত সব চলচ্চিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ‘নদীর নাম মধুমতি’ তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত করেছে। গুণি এই বাউল সাধক ২০১২ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পদক। তার জীবন দর্শন, সাধনা, সংগীতজীবন, বর্তমান বাউল গান ইত্যাদি বিষয় জানতে রাইজিংবিডি-এর পক্ষ থেকে তার মুখোমুখি হয়েছিলাম। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জব্বার আল নাঈম।
জব্বার আল নাঈম : ফুরৎ করে উড়ে যাবে এই খাঁচার পাখি/এই দেহ খাঁচা নতুন ছিলো পুরান হলো রে। গানটি আপনি গাইছিলেন। একটু ব্যাখ্যা করবেন কী?
সাইদুর রহমান বয়াতি : আমার যে বয়স এই বয়সে যে কোনো একদিন প্রাণপাখি উইড়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। তাই লিখলাম এই গান। আবার মানুষকে উদ্দেশ্য কইরা লিখলাম-ওরে খবরের সব কাগজ পড়ে বিশ্ব খবর জেনেছ/নিজ জীবনের পাঁচমিশালি কেউনি কখন ভেবেছ?/হাসি কান্না নিত্য লীলা কতো কিচ্ছা কাহিনি/ওরে ভালো কিংবা মন্দের সঙ্গে কেটে গেছে দিন রজনী।
এ সবই ভাবের গান। মানুষ খবরের কাগজ পড়ে সব জানে, কিন্তু নিজের জীবনের কতো যে ঘটনা, কত লীলা এসব জানার চেষ্টা করে না।
জব্বার আল নাঈম : সাইদুর রহমান এবং বয়াতি সাইদুর রহমানের জন্ম এবং বেড়ে ওঠার কথা বলুন শুনি।
সাইদুর রহমান বয়াতি : সাইদুর রহমান এবং বয়াতি সাইদুর রহমানের পার্থক্য তো অনেক। যেমন এই দেহ হইল সাইদুর রহমান। সুফি মতবাদ শাস্ত্রে মানুষ দুই প্রকার। প্রথমটি মিজাজী বা বাহিরের মানুষ অন্যটি হলো, হাকিকী বা অন্তরের মানুষ। এই মিজাজীটা যখন পরিপূর্ণরূপে পরিপক্ক হয়ে এই অবয়বে প্রবেশ করে অন্য নাম ধরে, অন্য গুণে প্রকাশ পায় তখনই সাইদুর রহমান বয়াতির জন্ম।
আজকের বয়াতি সাইদুর রহমানের পেছনে মূল অবদান আমার বাবা মায়ের।
বিশেষ করে বাবা আমার গানের প্রথম গুরু। তিনি আমাকে সারিন্দা, দোতারা বাজিয়ে শোনাতেন। কিচ্ছা কাহিনি, পুঁথি পড়ে শোনাতেন। তখন থেকেই ভালোলাগা। এরপর আমিও বাবার রাস্তা অনুসরণ করি। দোতারা হাতে দিয়ে বাবা বলতেন, ‘টোকা দে।’
আমি দিতাম। বাবা দোতারায় সুর ধরতো, শুনতাম বাবার গলার পুঁথির সুর। এগুলোর মধ্যে ছিলো কাসাসুল আম্বিয়া, সিরাজউদ্দৌলার কাহিনি, সোনাভানের পুঁথি, জৈগুন বিবির পালা ইত্যাদি। সময় কোনখান দিয়ে পার হইতো টের পাইতাম না। প্রাইমারি করার পর হাই স্কুলে সময় দেয়ার কথা মনে থাকত না। সময় কাটতো পথে-ঘাটে একতারা হাতে। মেট্রিক পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করলাম। কারণ সারা রাত গান কইরা সকালে পরীক্ষার হলে গিয়া ঘুমাইয়া পরছিলাম।
জব্বার আল নাঈম : স্কুলজীবনের কোনো বিশেষ স্মৃতি কি মনে পড়ে?
সাইদুর রহমান বয়াতি : তখন সম্ভবত থ্রিতে পড়ি। শুনলাম জিন্নাহ সাব ঢাকায় আসবে। আমি তাকে দেখতে অনেক কষ্ট কইরা ঢাকায় আসলাম। তিনি কড়া ভাষায় বললেন, উর্দু চলব, বাংলা চলব না। এরপর শুরু হইল ভাষার সংগ্রাম। (চোখের পানি মুছতে মুছতে) কি কমুরে বাবা, আমাগো রফিক শহীদ হইল। লাশ নিতে আইসা লাশ পাওয়া গেল না। তখন আমি গান ধরলাম- আমার ভাষায় বলব কথা। তোদের কেন মাথাব্যথা/এই ভাষাতে জুড়ায় প্রাণ/তোদের কি তাতে যায়রে মান…।
আমার বয়স তখন আট-নয় হবে। ১৯৫৪ সালে শেরে বাংলার মিটিংয়ে গান গাইলাম। ভাসানী সাহেবরে দেখলাম মানিকগঞ্জে, মাথায় তালের টুপি, পরনে সাদা লুঙ্গি, ছেঁড়া জামা গায়। অসম্ভব ভালো মানুষ, তার ডাকে আমরা সবাই রাজপথে চলে আসতাম। তার সভায়ও গাইলাম। এরপর নির্বাচন। নির্বাচনে শেখ সাবের বিজয়, কিন্তু ক্ষমতা পাইল না। শুরু হইলো মুক্তিযুদ্ধ।
জব্বার আল নাঈম : শুনেছি লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে তখন যাত্রাদলের সঙ্গে থাকতেন?
সাইদুর রহমান বয়াতি : স্কুলে থাকতেই শুনি রাখাল মন্ডলের যাত্রাদলে আমারে নিতে চায়, তবে নর্তকী হিসেবে। আমি তাতেই সই। ভালো গান গাওয়ার পর রাখাল মন্ডল ‘দানবীর হরিশ্চন্দ্র রাজা’ যাত্রায় রানী সভ্যার ভূমিকায় নিলেন। দর্শক আমারে খুব পছন্দ করল। আমার আরেক নাম হইয়্যা গেল ছবি রানী।
অভিনয় জীবনে আমি যখন মেয়ে সাজতাম তখন সবাই আমাকে মেয়ে মনে করত। বড় বড় চুল ছিল আমার। আমি একবার হাট থেকে পতিতাদের হাতে অপহৃত হই। মহিলা বলে তারা আমাকে ধরে নিয়ে যায়। সে আরেক ঘটনা! মনে পড়লে কান্না আইসা পড়ে। গ্রামের লোক বাবার কাছে নালিশ করলো। কিন্তু আমার নাটক করা থামলো না, গ্রামের মোল্লারা বাবারে একঘর কইরা দিলো। মনের দুঃখে আমি বাড়ি থেইক্যা বের হইয়া যাই। এভাবে ১৯ বছর বাইরে বাইরে কাটাই। এরপর তো মুক্তিযুদ্ধ শুরু হইয়া গেল।
জব্বার আল নাঈম : মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন। সে সময় আপনার ভূমিকা কী ছিলো?
সাইদুর রহমান বয়াতি : আরশাদ চেয়ারম্যান একদিন আমারে কইলো, পোলাপানগরেও প্যারেড শিখাইতে হইবে। সারা রাত প্যারেড করা হতো। অনেক মুক্তিযোদ্ধা আমার ওখানে আশ্রয় লইতো। কাদের সিদ্দিকী সাবও মুক্তিযোদ্ধা পাঠাইতো আশ্রয়ের জন্য। আমার দোকান হইয়া উঠলো মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়কেন্দ্র। আবার রাতের আন্ধারে গান বানতাম-মুক্তিসেনার নিশান তোলে/আয় ছুটি বাঙালি ভাই/শিলাবৃষ্টি ঝড়-বাদলের কেনো চিন্তা নাই।
কতবার যে পাক আর্মি, রাজাকারদের সামনে পড়ছি। উর্দু জানার কারণে মুক্তি পাইছি। যুদ্ধে আমার পালিত ভাই জামাল শহীদ হয়। অনেকে কইল, মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট লইতে, লইলাম না। কী হইব? যখন দেখি রাজাকার, আল-বদর মুক্তিযোদ্ধা বেশে রাস্তা ঘাটে ঘুরাফেরা করে তখন মনে হয় সার্টিফিকেট না নিয়ে দোষ করি নাই।
জব্বার আল নাঈম : কিশোর বয়স পার হয়ে এসে তরুণ বয়সের কথা। সে সময়ের জীবন সম্পর্কে কিছু বলবেন?
সাইদুর রহমান বয়াতি : টেস্টে ফেল কইরা বাপের সাথে রাগারাগি কইরা ভাবলাম, আর বাড়ি থাকা যাইব না। একজন বলল, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে লোক নিবে। লাইনে দাঁড়ালাম। চান্সও পাইলাম। মাস দুইয়ের বেশি থাকা হইলো না। ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী আমাকে স্নেহ করতেন। তিনি আমাকে কো-অপারেটিভ ব্যাংকে পিয়নের চাকরি দিলেন। চাকরি করতাম আর গান লিখতাম। একদিন অফিসে ধরা খাইয়া গেলাম। চাকরি গেলো। শুরু করলাম নতুন পেশা গান লিখা। এখান থেকে যা আসতো তা দিয়ে সংসার চলতো।
জব্বার আল নাঈম : দেহ-মন, জগৎ-সৃষ্টিকর্তা-এই বিষয়গুলো আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
সাইদুর রহমান বয়াতি : দেহ হইলো পুতুল। অর্থাৎ দৃশ্যমান জিনিসটা। যেমন দেহের মধ্যে আছে হাড়, রগ, মগজ, চামড়া, চুল, গোশত। এ ছাড়া আছে আগুন, পানি, মাটি ও বাতাস। দেহ তৈরি করার জন্য আরো আছে দর্শন, শ্রবণ, অনুভব, আস্বাদন, চলনশক্তি-এগুলো পরমসত্ত্বার অংশ। এই সকল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠন হয় দেহ। এই যে গঠনগুলোর কথা বললাম এগুলোর যে কোনো একটি বিশ্বাস করলে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতে হয়। তাহলে নাস্তিকতা কীভাবে হয়? আসলে নাস্তিকতা বলতে কিছু নাই। আর মন নফসের মাধ্যমে গঠিত হয়। নফস আবার ৫ প্রকার। এক. সৎ পথে পরিচালনা, দুই. অসৎ পথ থেকে দূরে থাকা, তিন. শ্রবণ, চার. হাটানো, পাঁচ. বলন। আবার আরবিতে আছে পঞ্চ আত্মা যেমন নাফাদি, জামাদি, হায়ানি, ইনসান, কুরসি। বাংলায় বলা হয় জীবাত্মা, পরমাত্মা, বোধাত্মা, প্রেতাত্মা, আত্মারামেশ্বর-এগুলো নিয়ে মন।
জব্বার আল নাঈম : আপনি তো গান করেন। গান নিয়ে কিছু বলেন।
সাইদুর রহমান বয়াতি : গান লিখি কবে থেকে ঠিক মনে করতে পারছি না। আমি আসলে অনেক পদের গান লিখছি। লিখিত গানের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। এর মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ পদের গান আছে। এখনও গান শুনি, লিখি। তবে বেশির ভাগ সময় লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের গান শুনি। নজরুলের সাথে দেখা হয়েছিলো শাহবাগ রেডিও অফিসে। নজরুলকে আমার সামনে এখনও দেখতে পাই। নজরুল অনেক উপরের মানুষ। লালনের কথা কি কমু, লালন তো মহাকবি, ভাবের মানুষ। সে নিজের ভিতরে স্রষ্টার সন্ধান করতো। লালনকে ধরা বহুত কষ্টের, কারণ তার দর্শন অনেক বড়। লালন বাউল জগতের মুকুটহীন সম্রাট। লালনের মতো এতো বড়ো মানের সাধক এখন কই? এখনকার বাউলরা লালনের নাম ভাঙিয়ে খায়।
জব্বার আল নাঈম : আপনি নানা ধরনের গান লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন, পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। নিজের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আপনার বিবেচনা কী?
সাইদুর রহমান বয়াতি : এই জাগতিক জগৎ একটা খেলার মাঠ। এখানে যে যেভাবে পারে সেভাবেই খেলতেছে। যার যার কর্মফল তা তাকে ভোগ করতে হবে। দুনিয়াটা আসলে কিছুই না। তবে মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে এটাই আমি বুঝতে পারলাম। এত দিন পরে আমি যে জাতীয় পুরস্কার পাইলাম, আমাকে নিয়ে মেলা হইলো, আমাকে ফেলোশিপ দেওয়া হইলো। প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের মানিকগঞ্জের এমপির সামনে আমি কথা বলতে পেরেছি। এটাকে আমি খুব সৌভাগ্য মনে করি। বাংলা একাডেমির ফেলোশিপের সংবাদ পাইয়া তো কান্না চইলা আসল। শধু বললাম, সারা জীবনের কাজের ফল দিলো আল্লাহ। কতো উঁচু উঁচু মানুষের সাথে বসে পুরষ্কার নিলাম। আমার জীবনে আর কিছু কি চাওয়ার থাকতে পারে? এই স্বীকৃতি আমারে অন্য জগতে লইয়া গেলো। সেই কথা ভাবতে গেলে মনে মনে হাঁসি, গর্বে মাথা নতো করে ভাবি, আরো বেশি কাজ করা উচিত।
জব্বার আল নাঈম : আমরা যতটুকু জানি আপনি কাবরাজি করেন।
সাইদুর রহমান বয়াতি : তোমাদের জানার মধ্যে কিছু ভুল আছে। কবিরাজরা তন্ত-মন্ত্র জানে, আমি জানি না। আর আমি কবিরাজগিরি করি না। রোগ মুক্তির মালিক আল্লাহ। তবে আমি ভেষজ চিকিৎসা দেই। এভাবেই মানুষের খেদমত করতে চাই।
জব্বার আল নাঈম : আপনি তো লোককবি। এ সম্পর্কে কিছু বলুন। লোককবির মূল বৈশিষ্ট্য কী?
সাইদুর রহমান বয়াতি : লোককবি কি সহজ কথা! লোককবি যাকে-তাকে বলা যায়? যায় না। সাধারণত উপস্থিত বিষয় নিয়ে কবিতা বানানোটাই লোককবির কাজ। সবাই সহজে তা পারে না। আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানও দরকার। ইচ্ছা করলেই কবিতা লিখা যায় না। আমার কিছু লোককবিতা আছে, চেষ্টা করেছি বানানোর জন্য।
জব্বার আল নাঈম : আপনার বিচিত্র অভিজ্ঞতাময় জীবন। কতো কিছুই তো দেখলেন, জানলেন এই দুনিয়ায়। আপনার জীবনদর্শন কী?
সাইদুর রহমান বয়াতি : আমি বিশ্বাস করি এক পরমেশ্বরে। তাকে কেউ আল্লাহ বলে, কেউ কয় গড বা যিশু, কেউ কয় হরি, কিন্তু তিনি আসলে একজনই। আমি মনে করি মানুষের দেহই তার বড়ো ধন। দেহের নিয়ন্ত্রণ করাটাও সাধনার কাজ। আমি পরমের সন্ধানে আছি। পরমকে পাইতে আকাশে বাতাসে ঘুরতে হয় না। এখন এটা বুঝ্যা গেছি। সবার আগে নিজেরে চিনতে হয়।
জব্বার আল নাঈম : শুনলাম বাংলা একাডেমি আপনার লেখা নিয়ে বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে?
সাইদুর রহমান বয়াতি : সায়মন জাকারিয়া প্রথম আমার লেখা সংগ্রহ করতে থাকে। এখানে ভাব সংগীত, সৃষ্টিতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব, নবীতত্ত্ব, পরমতত্ত্ব, মুর্শিদি, ধুইয়া, জারি, সারি, গাজরি গান, কবিগান, টপ্পা, পাঁচালি আরো অনেক কিছু আছে। আছে বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে কবিগান। আশা করি বইটি কয়েকদিনের মধ্যেই প্রেসে যাবে। সায়মন জাকারিয়া সাহেব আমার বই নিয়ে বেশ কষ্ট করছেন। বইয়ের কাজ শেষ হইলে নিঃশ্বাস নিয়ে ঘুমাইতে পারুম।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪/তাপস রায়
রাইজিংবিডি.কম