ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কলারোয়ার সমতল ভূমিতে মাল্টার চাষে সাফল্য

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ৩০ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কলারোয়ার সমতল ভূমিতে মাল্টার চাষে সাফল্য

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সমতল ভূমিতে মাল্টার চাষ করে সফল হয়েছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উলুডাঙ্গা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ শামছুর রহমান।

২০০৯ সালে তিনি প্রথম নার্সারি স্থাপন করেন। নার্সারির চারা বিক্রির পাশাপাশি তিনি তিন বিঘা জমির উপর কুলের বাগান করেন। ২০১৬ সালে জুন-জুলাই মাসে তিনি ওই তিন বিঘা জমির কুলের বাগানে মাল্টা চাষ করেন এবং সাফল্য পান।

শামছুর রহমানের মাল্টার বাগানের সাফল্য দেখে পার্শ্ববর্তী খোরদো হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জি.এম. আমিনুর রহমান তার থেকে ৪৫০টি মাল্টার চারা নিয়ে ৪ বিঘা জমির উপর মাল্টা চাষ শুরু করেছেন।

এ ছাড়াও শামছুর রহমানের নিকট থেকে ২০০০ মাল্টার ২০০০  থাই-পেয়ারার চারা নিয়ে ঝিকড়গাছা থানার মাটশিয়া গ্রামের দুই ভাই আবুবক্কর সিদ্দীক ও আব্দুল কাদের ১৩ বিঘা জমির উপর বৃহৎ পরিসরে মাল্টা ও সাথী ফসল হিসাবে পেয়ারার চাষ শুরু করেছেন।

তাছাড়া সাতক্ষীরার অনেকেই শখের বসে বাড়ির ছাদে মাল্টা চাষ শুরু করেছেন।

বর্তমানে শামছুর রহমানের বাগানে ৪৫০টির বেশি মাল্টা গাছে মাল্টা ধরেছে। যা জেলার চাহিদা পূরণে অবদান রাখছে। তার বাগানের মাল্টা রাজধানী ঢাকাতেও আসছে। বর্তমানে তিনি মাল্টার চারা উৎপাদন করে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।



শামছুর রহমান জানান, অন্যান্য ফলের তুলনায় কম খরচে সহজে মাল্টা চাষ করা যায়। রোগও তুলনামুলক কম হয়। এক বিঘা জমিতে ১০০ থেকে ১৫০টি চারা রোপণ করা যায়। এক ফুট বাই এক ফুট গর্ত করে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও জৈব সার ব্যবহার করে মাল্টা গাছ রোপণ করতে হয়। সাধারণত ২বছর পরে প্রতিটি মাল্টা গাছ থেকে ২৫০-৩০০টি ফল পাওয়া যায়।

ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে ফল পাওয়া যায়।

সহযোগিতার ব্যাপারে মোঃ শামছুর রহমান বলেন, আমি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে বাগান করেছি। কৃষি কর্মকর্তা কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। তবে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ২-৩ দিন আমার বাগানে এসেছিলেন এবং কিছু দিক নির্দেশনামূলক উপদেশ দেন।

কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মহাসিন আলী বলেন, ‘আমি শামছুর রহমানের বাগান পরিদর্শন করেছি। তার বাগান খুবই চমৎকার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে তার যা যা সহযোগিতা প্রয়োজন তার সবটুকুই করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘শামছুর রহমানের মাল্টা বাগান দেখে অনেকে উৎসাহিত হয়ে মাল্টা চাষ শুরু করেছেন। আমি মনে করি, স্থানীয়ভাবে মাল্টা চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।’




রাইজিংবিডি/ সাতক্ষীরা/৩০ অক্টোবর ২০১৮/এম.শাহীন গোলদার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ