ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধের রায় বহাল

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধের রায় বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

এর আগে গত বছরের ১৫ মার্চ টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে আপিল বিভাগ শুনানির দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন কাদের সিদ্দিকী।

ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া কালিহাতীর ওই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে কাদের সিদ্দিকীর দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অগ্রণী ব্যাংকে খেলাপি ঋণের কারণ দেখিয়ে প্রার্থিতা বাতিলের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট উপনির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেন। ফলে উপনির্বাচন আটকে যায়।

হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করলে ইসি ২০১৫ সালের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ভোটের দিন ঠিক হয় ১০ নভেম্বর। কাদের সিদ্দিকীসহ মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান বাছাই শেষে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। ঋণ খেলাপের কারণ দেখিয়ে কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন কাদের ও নাসরিন সিদ্দিকী। কিন্তু কমিশনের শুনানিতেও তাদের আবেদন টেকেনি।

এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, তাকে ‘ঋণ খেলাপি’ বানাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ‘ছলনার’ আশ্রয় নিয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে তিনি রিট আবেদন করলে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন আদালত কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি রুলও জারি করেন।

হাইকোর্টের আদেশে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর সব প্রার্থীদের সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তার মনোনয়নপত্র নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে ২৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন। পর দিন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন এবং ওই সময় পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের আবেদনটি আপিল বেঞ্চে ওঠে। শুনানি শেষে আদালত তা নিষ্পত্তি করে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে দেওয়া রুল ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়ে ওই সময় পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত করেন। রুল নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন আপিল বিভাগ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জানুয়ারি ২০১৭/মেহেদী/সাইফুল/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়