ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কান পেতে শুনি শঙ্খের শব্দ

কবি স্বরলিপি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৪০, ৩১ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কান পেতে শুনি শঙ্খের শব্দ

ছবি: মোহাম্মদ আসাদ

স্বরলিপি: সমুদ্র থেকে সংগৃহীত শঙ্খ আবৃত থাকে সবুজাভ কালচে আবরণে। শঙ্খশিল্পীর হাতের ছোঁয়ায়, একটু একটু যত্নে, সেগুলো পেয়ে যায় অনন্যতা। আকৃতি অনুযায়ী এসব শঙ্খের কোনটা হয়ে ওঠে পদ্ম শঙ্খ (বিষ্ণুর হাতে শোভা পায়), বাদ্য শঙ্খ (পূজার সময় ফুঁ দিয়ে বাজানো নয়), জল শঙ্খ (পূজা-অর্চনায় ব্যবহৃত হয়), গোমুখ শঙ্খ (ধর্মীয় কাজে ব্যবহার-অযোগ্য), সাধারণ শঙ্খ প্রভৃতি। যে বা যারা দিন রাত পরিশ্রম করে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন অনুপ নাগ তাদের একজন। ভালোবেসে কাজ করেন, শঙ্খের ওপর নকশা আঁকার কাজটিকে তিনি মনে করেন ধ্যান।

অনুপ নাগ বংশ পরম্পরায় এই পেশার একজন হয়ে উঠেছেন। ১৯৪৭-এর দেশভাগের সরাসরি প্রভাব পড়েছিল অনুপ নাগদের সংসারে। তার বাবা-কাকা ৭ ভাই। অথচ দেশে তার বাবা ছাড়া কেউ থাকেননি। তার বাবার সংযুক্তি ছিল পেশার সাথে।  বাবার পেশায় পরবর্তী সময়ে যোগ হয়ে যান অনুপ নাগ ও তার ভাই রবীন্দ্রনাথ নাগ। ১৯৮৮সাল থেকে একাধারে কাজ করে চলেছেন অনুপ নাগ। তিনি প্রতিদিন সকাল এগারোটা থেকে কাজ শুরু করেন। শুরুর সময়টা নির্ধারিত থাকলেও নির্ধারিত নয় কাজ শেষের সময়। কখন শেষ করবেন তা নির্ভর করে অনুপ নাগের ইচ্ছার ওপর। মাঝে মাঝে বিরতি নেন, তাও নাকি কাজে ফেরার জন্যই। এমনটাই জানালেন অনুপ। তিনি আরও জানান, দিন আর রাতের কাজের ধরণ এক নয়। সকালে শঙ্খ নকশার জন্য প্রস্তুত করেন। বিকালে নকশা খোদাইয়ের কাজ করেন আর রাতে নকশাকে এক একটি রূপ দান করেন।

সময় ভেদে কাজ এভাবে ভাগ করা কেন, প্রশ্ন করতেই তিনি যে উত্তর দিলেন রীতিমত ভাবনার বিষয়। এই শিল্পীর ভাষ্য, সকাল মানে দিনের শুরু, এ সময় অল্প মনোযোগে হয় এমন কাজ করা ভালো। আর রাতে শঙ্খের ওপর কঠিন নকশাগুলো তুলে ধরা সহজ। কেননা তখন নিবিষ্টচিত্তে কাজ করা যায়। কোলাহল নেই। চুপচাপ চারপাশ। অনুপ নাগ রাতে নকশা খোদাই করার সময় ঘরের বৈদ্যুতিক বাল্বগুলো বন্ধ করে দেন। দুইপাশে জ্বালিয়ে নেন দুটি মোমবাতি। মোমের  আলোয় যখন সম্মুখভাগ ছেঁয়ে যায় তিনি সেই আলোয় নকশায় ফুটিয়ে তোলেন ঐতিহাসিক কোন চরিত্র, রাধাকৃষ্ণের লীলা, দূর্গা, শিব, জয়নুলের বিখ্যাত সব চিত্রকর্মের অনুরূপ, একটি ফুল কিংবা জাতীয় কোনো ভাস্কর্য। এছাড়া মাছ, পাখি, লতা, পদ্মকলি, শাপলার পাপড়ি, জংলি ফুলের কলি, ধানের ছড়া বা শিষ, শিউলির আদল সবই ঠাঁই পায় নকশায়।

বৈদ্যুতিক বাল্ব নিভিয়ে কাজ করার কারণ জানতে চাইলে অনুপ নাগ বলেন, ‘লাইটের আলোতে চিন্তা করবেন আর মোমবাতির অল্প আলোতে চিন্তা করবেন- এক হবে না। এটা আমার কাছে ধ্যান।’ সেতো একটি মোমবাতি জ্বালালেও আলো পাওয়া যেতে পারে, দুটি কেন? মোমবাতি জ্বলতে পারে তিনটিও। কিন্তু না, তা মোটেও হবে না। অভিজ্ঞ অনুপ নাগ জানেন, দুইদিক থেকে আসা আলো পরস্পরকে ভেদ করে যায়। ফলে ধীরগতির নদীর মতো আলো প্রবাহিত হয়। মনে প্রশান্তি আসে। আলোর ছোট ছোট ঢেউ, আর একের পর এক নকশার শরীর গড়ে ওঠা চলতে থাকে সমান তালে। সাধারণ শঙ্খ এবং গোমুখ শঙ্খ বিশেষ ধরনের করাত দিয়ে গোলাকার করে কেটে তৈরি করা হয় বিভিন্ন আকারের বলয়। এরপর কাষ্ঠখণ্ড (ম্যান্দামারা)র সাথে বেঁধে ইজেলের মতো একটি বস্তুর উপরে শাঁখা বলয়টি রেখে রেত দিয়ে ঘষে বা দা  ব্যবহার করে কাজ করেন এই শিল্পী। আগে বিশেষ ধরনের শিল-এ ঘঁষে এসব বলয় মসৃণ করা হতো, বর্তমানে লেদ মেশিনে মসৃণ করার কাজটি করা হয়ে থাকে। মসৃণ করা হয়ে গেলে নকশা করার উপযোগী হয়ে যায়।
ভিন্ন ভিন্ন প্রায় ২৫ রকমের নকশায় শাঁখা বলয় সাজিয়ে তোলা হয়। মোটিফগুলোর মধ্যে রয়েছে: আঙুর পাতা, কলসি, কলকে, গাঁদাফুল, গোলাপ ফুল,  প্রজাপতি, পদ্মকলি, শাপলাকলি, ধানছড়া,  হীরামন, বাঁশরেখা, মাছ, মকর প্রভৃতি।
নকশা অনুযায়ী এগুলো বাঁশরেখী, কারনিশদার, খায়েশা, বাচাদার, ফুলতরঙ্গ, ডায়মন্ড কাটিং, মকরচেহারা, রঙ্গিলা, রামলক্ষ্মণ, ধানছড়ি, পদ্মকলি শাঁখা নামে পরিচিত। অধিক ব্যবহৃত হয় জলজ ফুলেল মোটিফের শাঁখা। এগুলোর দামও তুলনামূলক কম। হাতে নকশা করা প্রতি জোড়া শাঁখা বিক্রী হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়। মেশিনে নকশাকৃত শাঁখার মূল্য মাত্র ২০০ থেকে ৩০০টাকা। অথচ দৃশ্যত সেগুলো প্রায় একই। ফলে ক্রেতাদের ঝোঁক হাতে নকশা করা শাঁখার দিকে নেই বললেই চলে।

শাঁখা বানানোর কাজ আগের থেকে কমিয়ে দিয়ে জলশঙ্খ আর বাদ্য শঙ্খের কাজ বেশি করছেন বলে জানান অনুপ নাগ। হাতে কাজ করা শাঁখার চাহিদা আগের থেকে অনেক কমে গেছে বলে জানান তিনি। তবে একেবারে ছেড়ে দিতে পারেননি। তার পেছনে কারণও আছে বিস্তর। শ্রীলঙ্কার জাফনা ও ভারতের মাদ্রাজের তিতপুর থেকে আসে এই শঙ্খ। অপরিশোধিত ১০০টি শঙ্খের ভেতর ৫০ থেকে ৬০টি শঙ্খ পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে বাদ্য বা জলশঙ্খ বানানো সম্ভব। এর বাইরে যেগুলো থাকে সেগুলো দিয়ে শো-পিস বা শাঁখা বানানো ছাড়া উপায় থাকে না। কোন শঙ্খে কি পরিমাণ নকশা করা যাবে তা নির্ভর করে ওই শঙ্খের গঠন, বলতে গেলে সুস্থতার ওপর। শিল্পী যা খোদাই করবেন তারও তো যোগ্যতা থাকতে হয় সইবার, সয়ে যাবার। জলশঙ্খ তৈরিতে অনুপ নাগের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এতে তিনি তিনটি স্তর তৈরি করেন। প্রথম স্তরে জল, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরে মধু ও ঘি রাখা হয়। একটি জল শঙ্খ প্রস্তুত করতে সময় নেন ১০ থেকে ১২ দিন। এগুলো বিক্রি হয় সাত থেকে আট হাজার টাকায়। একই শঙ্খ মেশিনে প্রস্তুত করা হলে দাম গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
 


ফলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন মেশিনে নকশাকৃত শঙ্খের দিকে।

নকশার ঘনত্ব আর শঙ্খের আকার বড় হলে একটি শঙ্খ প্রস্তুত করতে সময় লাগে ২মাসের অধিক। মেশিনে নকশা করা অধিকতর কম মূল্যের শঙ্খে যখন বাজার ছেঁয়ে গেছে অনুপ নাগদের হাতে কাজ করা শঙ্খের ক্রেতারা তখন একেবারে নির্দিষ্ট প্রায়। শখের বসে, পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে, আভিজাত্যের প্রতিকরূপে হাতে কাজ করা শঙ্খ কিনে নিয়ে যান ক্রেতারা। নকশার ওপর ভিত্তি করে এই সব বড় আকারের শঙ্খের দাম পড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। রাজধানীর শাঁখারী বাজার শঙ্খ কেনাবেচার প্রধান কেন্দ্র। এছাড়া চট্টগ্রাম, ঝালকাঠী ও গৌরনদীতেও শঙ্খ ব্যবসা প্রচলিত।

কেবলমাত্র শাঁখায় নয়, কানের টপ, খোঁপার কাঁটা, চুলের ক্লিপ, ঘড়ির চেন, আংটি, বোতাম, ব্রুশ, শঙ্খের মালা, ব্রেসলেট প্রভৃতি অলঙ্কার তৈরিতেও শঙ্খ ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে শঙ্খ দিযে তৈরি হচ্ছে, আতরদানি, ফুলদানি, এসট্রে, সেপটিফিন, পেপারওয়েট ইত্যাদি। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা থেকে শাঁখা কিনে নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্রি করে থাকেন। প্রসাধন সামগ্রী হিসেবে বিক্রি হয় শঙ্খের গুঁড়া। প্রতিটি প্যাকেটে প্রায় ১০০ গ্রাম শঙ্খের গুঁড়া থাকে। শাঁখারী বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি প্যাকেট সংগ্রহ করা যায় ১০০ টাকায়। আর কাজের ঘরটিও সাদা হয়ে ওঠে এই শঙ্খগুঁড়া দিয়ে। অনুপ নাগের কাজের ঘরটি দেখলে মনে হয়, ঘরটি যেন সারাদিনের নিস্তব্ধতা জমিয়ে রাখে এই শিল্পীর জন্যই। ১২৭ শাঁখারী বাজারে গিয়ে পেয়ে গেলাম তার কাজের ঘরের সন্ধান।  তিনতলায় সেই ঘরটিতে পৌঁছানোর আগে, পার করতে হলো ছোট্ট পরসরের কয়েকটি সিঁড়ি। দিনের বেলাতেও সিঁড়িগুলো ডুবে থাকে ঘুটঘুটে অন্ধকারে। সেলফোনের আলো ফেলে সিঁড়ি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা আংশিক সফল হয়।

‘কোনো ভয় নেই’ বলতে বলতে আমাকে পথ দেখিয়ে কাজের ঘরে নিয়ে গেলেন শঙ্খশিল্পী নিজেই।  ছোট ছোট দুটি কক্ষ। মেঝেতে বসে কাজ করেন অনুপ নাগ, তাকে সঙ্গ দেন ছেলে বাপ্পী নাগ ও নাতি (মেয়ের সন্তান) সোহাগ বৈদ্য। অনুপ নাগের ইচ্ছা তার বংশধর এই পেশা ধরে রাখুক। তিনি যখন কোন শঙ্খশিল্পীর পরিবারের সন্তানকে অন্য পেশায় চলে যেতে দেখেন কষ্ট পান। অনুপ নাগ বলেন, ‘আমার ভাই রবীন্দ্রনাথ নাগ এই পেশায় ছিলেন। তার মৃত্যুর পর আমার ভাইপো সুব্রত নাগ এই পেশায় অনিয়মিত হয়ে গেছে। তার সন্তান হয়তো আর এই পেশায়ই থাকবে না। চোখের সামনে শেষ হয়ে যেতে দেখছি এই বাবা-ঠাকুরদার শিল্প। একজন শঙ্খশিল্পী মরে গেলে এই শিল্পের একজন বাহক মরে যায়।’

অস্বীকার করার উপায় নেই একথা। নতুন প্রজন্মকে এই শিল্পের সাথে জড়াতে দেখা যাচ্ছে না। শাঁখারী বাজারের সর্বকনিষ্ঠ শিল্পী সৈকত বৈদ্য। একা একটি প্রজন্মের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে সৈকত। অনুপ নাগ তার নাতি সৈকত বৈদ্যের দক্ষতা সম্পর্কে বলেন, সে আমার থেকে এগিয়ে। জটিল জটিল সব নকশা করে ফেলে। দিন দিন শঙ্খশিল্পী কমে যাওয়ার ফলে এই শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়েছে একথা যেমন সত্য, তেমনি ২০০৪ সালের সুনামি এই শিল্পকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করেন অনুপ নাগ। জানা যায়, ১৯১০ সালে ১৫০টি তিতকৌড়ি শঙ্খের মূল্য ছিল ৪০-৪৫ টাকা। এই মূল্য ১৯৯৯ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৪ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। শঙ্খের রকমফেরে তিতকৌড়ি সর্বউৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত হয়। এরপরে জাডকি ও পাটি শঙ্খ উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত। এর বাইরে রয়েছে, তিতপুটি, রামেশ্বরি, ঝাঁজি, দোয়ানি, মতি-ছালামত, পাটি, গারবেশি, কাচ্চাম্বর, ধলা, জাহাজি, গড়বাকি, সুরতি, দুয়ানাপটি, জাডকি, কেলাকর, জামাইপাটি, এলপাকারপাটি, নায়াখাদ, খগা, সুর্কিচোনা। সর্বনিকৃষ্ট শঙ্খ হিসেবে বিবেচিত হয় আলাবিলা প্রজাতির শঙ্খ।

বাদ্য হিসেবে শঙ্খের কদর আলাদা। ভারতীয় উপমহাদেশে খুব পরিচিত শঙ্খ বানানোর জন্য সমুদ্র থেকে সংগৃহীত শঙ্খটি প্রথমে ভেতর-বাইরে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। তারপর কেটে দেওয়া হয় শঙ্খের নাভি। এরপরে বাদ্য হিসেবে প্রস্তুত হয়ে যায়। বাদ্য শঙ্খের সমাদর রয়েছে, পূজাপার্বণ, বিবাহ, মাঙ্গলিক ও প্রাত্যহিক অনুষ্ঠানে। শুধুমাত্র তাই নয় এটি সঙ্কেতপ্রদানের কাজেও ব্যবহৃত হয়। হিন্দু সম্প্রদায় শঙ্খ ও ঘণ্টা বাজিয়ে সন্ধ্যাআরতি দিয়ে থাকে। আবার নতুন বর বধূ গৃহে প্রবেশের পূর্বেও শঙ্খ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করা হয়। শঙ্খের জন্ম সমুদ্রে, সমুদ্রে বেড়ে ওঠা, ছুঁয়ে দিলে পাওয়া যায় শীতল অনুভব। প্রচলিত কথা, ঘরে শঙ্খ রাখলে সম্পর্ক দৃঢ় হয়। ঘরের সদস্যদের রাগ কম থাকে।

অতীতে রাজধানীর শাঁখারী পট্টির শাঁখারিদের তৈরি শাঁখা, অলংকার সমাদৃত ছিল দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে। শাঁখারী বাজারের শঙ্খবলয় রপ্তানি হতো ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে। সতেরো শতকে নেপাল, ভুটান, চীন, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ টাকার শাঁখা রপ্তানি হতো বলে জানা যায়। অথচ সেসব দুয়ার বন্ধ হয়ে আছে। দেশে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী কেবলমাত্র দেশের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছায়। এছাড়া বিভিন্ন পূজা-পার্বণ ও মেলা উপলক্ষেও শাঁখার অলঙ্কার বিক্রি হয়।

শিল্পীর সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। শঙ্খের অপ্রতুলতাও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। তবে আশার আলোটুকু নিভু নিভু করে জ্বলছে কোথাও কোথাও। মেলাকেন্দ্রীক শঙ্খ সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। কখনো সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আবার কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলার আয়োজন হচ্ছে, সেগুলো কেন্দ্র করে শিল্পীরা ক্রেতাদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারছেন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের বাইরের বিভিন্ন মেলাতে শঙ্খ সামগ্রী প্রদর্শনীর সুযোগ পাচ্ছেন তারা। তবু আশার চাকা উল্টো ঘুরছে, শিল্পী কমে আসার দিনে প্রবীনশিল্পীরা শুনছেন একটি শঙ্খ থেকে আর একটি শঙ্খের ধাক্কা খাওয়ার শব্দ। আছে ভয় কখন যেন হারিয়ে যায় এই পেশা!




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ মে ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়