ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

কালীগঞ্জে আজ গণহত্যা দিবস

রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কালীগঞ্জে আজ গণহত্যা দিবস

“১৯৭১ শহীদ স্মরণে” নামে স্মৃতিস্তম্ভ

কালীগঞ্জ সংবাদদাতা : ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের ন্যাশনাল জুট মিলের ভেতর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীসহ ১৩৬ জন বীর বাঙালিকে ব্রাশ ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী।

তাই প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর শহিদদের স্মরণে গণহত্যা দিবস পালিত হয় কালীগঞ্জে। এবারও শহিদদের গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  

মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়রা জানান, ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ ন্যাশনাল জুট মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা সকালের নাস্তা খেতে বসেছেন। এ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পার্শ্ববর্তী ঘোড়াশাল ক্যাম্প থেকে নদী পার হয়ে মিলের ভেতর ঢুকে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে থাকে। ন্যাশনাল জুট মিলের নিরীহ বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক লাইনে দাঁড় করিয়ে হানাদার বাহিনী গুলি করে। পাকবাহিনী এই গণহত্যা চালিয়ে দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে মিল ত্যাগ করে। ৩/৪ দিন বাঙালিদের মরদেহ মিলের সুপারি বাগানে পড়ে থাকে। পাকবাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মিলের ভেতর থেকে লাশগুলো উদ্ধার করতে এগিয়ে আসার সাহস পায়নি। ফলে মরদেহগুলি শেয়াল-শকুনের খাদ্যে পরিণত হয়। দেশ স্বাধীন হলে এলাকাবাসী মিলের ভেতর গিয়ে ১৩৬ জনের মরদেহ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে মরদেহগুলো ন্যাশনাল জুট মিলের দক্ষিণ পাশে গণকবরে সমাহিত করে।

মিল কর্তৃপক্ষ গণহত্যার শিকার শহিদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ‘১৯৭১ শহীদ স্মরণে’ নামে একটি সৌধ নির্মাণ করেন। শহিদদের গণকবরের পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর ১৩৬ জন শহিদের এই কবরে উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলাবাসী শ্রদ্ধা নিবেদন, পুষ্পস্তবক অর্পণ করন এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।



রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১ ডিসেম্বর ২০১৭/রফিক সরকার/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়