কাশ্মীরে ফেসবুক, টুইটার নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতশাসিত কাশ্মীরে ফেসবুক, টুইটার নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুধু ফেসবুক, টুইটার নয় মোট ২২টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ১ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার দাবি করেছে, কাশ্মীরে সহিংসতা উসকে দিতে ‘সরকারবিরোধী হাতিয়ার হিসেবে’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ে উভয় পক্ষের গ্রাফিক ডিভিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
কাশ্মীরের বিক্ষুব্ধ অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন। নিহত হওয়ার এ ঘটনা ক্ষোভের আগুনে ‘ঘি ঢালা’র মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
নিষিদ্ধ করে দেওয়া অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইউটিউব, স্কাইপ, টেলিগ্রাম, স্যাপচ্যাট ও রেডিট।
রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞার আদেশে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘অসন্তোষ ছড়াতে’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আপত্তিকর তথ্য-উপাত্ত’ ছাড়ানো হচ্ছে।
গত বছর জুলাই মাসে জনপ্রিয় ধর্মীয় নেতা বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। সেই থেকে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলছে।
৯ এপ্রিল শ্রীনগর উপ-নির্বাচন নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে আটজন নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ আরো ছড়িয়ে পড়ে। হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর পাথর ছুড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সম্প্রতি বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কয়েকটি বিদ্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। চরম এ পরিস্তিতি মোকাবিলায় সরকার এখন বিকল্প উপায় হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে- যদি এতে বিক্ষোভের গতি কিছুটা কমে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৭/রাসেল পারভেজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন