ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কুখ্যাত ডাকাত ঝিলকী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

মামুন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ৩ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কুখ্যাত ডাকাত ঝিলকী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আলোচিত ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলাম ঝিলকী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার গভীর রাতে বানিয়াচং উপজেলার বানিয়াচং-শিবপাশা রোডের আঞ্জন এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ হয়।

ঝিলকী (৩২) বানিয়াচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাদারীটুলা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। তার নিহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানিয়াচং থানা পুলিশ কাগাপাশা ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামের ইছমত মিয়ার নির্জন বাড়িতে ডাকাতি করার প্রস্তুতিমূলক গোপন বৈঠকে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত সাইফুল ইসলাম ঝিলকীকে (৩২) আটক করেন।

পরবর্তীতে ঝিলকীর দেওয়া তথ্যমতে তাকে নিয়ে বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সহযোগী ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে বের হন। বানিয়াচং-শিবপাশা রোডের আঞ্জন এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাস্তার দুইপাশ হতে ঝিলকীর সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। 

এক পর্যায়ে ঝিলকী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে  হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল হতে একটি পাইপগান বন্দুক, তিন রাউন্ড কার্তুজ, আটটি গুলির খোসা, চারটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। এদের একজনকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য তিনজনের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঝিলকীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

এদিকে, ঝিলকীকে আটকের পর বুধবার রাতে উপজেলার কাগাপাশা গ্রামে তার দুই সহযোগীকে ধরে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

আটককৃত ডাকাতরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আজম (৩৫) ও একই উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মনু মিয়া (৩৩)।

পুলিশ জানায়, এদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/হবিগঞ্জ/৩ আগস্ট ২০১৭/মো. মামুন চৌধুরী/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ