ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কোরবানির পশু কিনেছেন?

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৩ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কোরবানির পশু কিনেছেন?

ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান : কোরবানির পশুর হাট এখন সরগরম। ইতিমধ্যে অনেকে কিনে ফেলেছেন পছন্দের কোরবানির পশু। কেনার পর থেকে নিয়ে কোরবানির দিন পর্যন্ত একটু যত্নের প্রয়োজন হয়। কেনার পরে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হয় তা হল:

* বিশ্রাম : সাধারণত শহরের হাটে আসা গরুগুলো অনেক দূর থেকেও আসে। দীর্ঘ সময় তারা যানবাহনের মধ্যে অবস্থান করে। তাই কেনার পরে বাসায় নিয়ে এসে প্রথমে তার দুই পায়ে জীবাণুনাশক দিয়ে ক্ষুরগুলো ধুয়ে দিবেন। এক্ষেত্রে পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট বা পভিডন আয়োডিনের দ্রবণ ভালো কাজ করে। এরপর পরিষ্কার পানি সেবন করতে দিতে হবে। বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করতে হবে।

* গোসল করানো : কেনার পর গোসল করালে প্রাণীর ক্লান্তি দূর হয়ে প্রশান্তি আসে। তাছাড়া প্রত্যেহ গোসল করানো উত্তম। এতে করে পশমগুলো ভালো থাকে এবং খাবার গ্রহণে আগ্রহ ভালো থাকে। থাকার স্থানটা পরিষ্কার রাখা উত্তম।

* বাসস্থান : গরু বা ছাগলের থাকার ব্যবস্থাটা ভালো রাখা জরুরি। অপরিষ্কার ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় রাখলে নানা সমস্যা হতে পারে। রাতের বেলায় মশার হাত থেকে রক্ষার জন্য মশারি বা মশার কয়েল দিতে হবে। কয়েল দিলে সতর্কতার সঙ্গে রাখতে হবে। একটু অসতর্কতায় অনেক বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনাও ঘটে থাকে।

* খাবার প্রদান : বাজার থেকে কেনা গরু বা ছাগলের প্রথম যে সমস্যাটা সবাই বলে থাকেন, তা হল খাবার গ্রহণে অনীহা। এর কয়েকটা কারণ হতে পারে- নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানো এবং তার পূর্বের খাদ্যাভ্যাস না জানা। এক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে পছন্দ করে এমন খাবারগুলো অল্প অল্প করে দিয়ে অভ্যাস করতে হয়। পরিষ্কার পানি, গমের ভুষি, সরিষায় খৈল এবং চালের গুড়া দেয়া যায়। ছাগলের ক্ষেত্রে অল্প পরিমানে ভাত, কাঠালের পাতা, চালের গুড়া ও গম ভাঙা দেয়া যেতে পারে। না হলে কিছু রুচিবর্ধক দেয়া যাবে।

* অসুস্থ হলে চিকিৎসা করা : বাজার থেকে আনার পর কোনো সমস্যা দেখা দিলে ভেটেরিনারি সার্জন বা রেজিষ্ট্রার্ড ভেটেরিনারি প্র্যাকটিশনের পরামর্শ নিতে পারেন।

* আলাদা জায়গায় রাখা : গরু ও ছাগলের আলাদা আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে খাদ্য গ্রহণ ভালো থাকে।

* শরীর পরিষ্কার ও গ্রুমিং করা : গরু বা ছাগলের শরীর প্রত্যেহ পরিষ্কার রাখুন। মাঝে মাঝে চিরুনি দিয়ে পশমগুলো পরিষ্কার করতে হবে, এতে করে শরীরে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। ফলে বৃদ্ধি ভালো থাকে।

* অতিরিক্ত গরমে ফ্যানের ব্যবস্থা করা : অতিরিক্ত গরমে ফ্যানের ব্যবস্থা করলে গরু বা ছাগল প্রশান্তিতে থাকে।

* পচা ও বাসি খাবার দেয়া থেকে বিরত থাকা : পচা ও বাসি খাবার সরবরাহ করলে গরু বা ছাগলের পেট ফাঁপা রোগ হতে পারে। যা আপনাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিতে পারে। তাই পরিষ্কার ও টাকটা খাবার এবং বিশুদ্ধ পরিষ্কার পানি খেতে দিতে হবে।

এসব ব্যবস্থা নিলে আপনার কোরবানির পশু থাকবে সুস্থ ও নিরাপদ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ আগস্ট ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়