ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ’

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৫ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল হালিম বলেছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সকল মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জলবায়ুসহিষ্ণু কৃষি উৎপাদনশীল ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

শিল্প সচিব বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর অন্যতম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি কঠিন কাজ। লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা বৃদ্ধি, বন্যাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে গত দশকে জিডিপি ২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং কৃষি খাতে জলবায়ুসহিষ্ণু প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে চলতি দশকে এ ধরনের ক্ষতির পরিমাণ ১ শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জাতীয় উন্নয়নের জন্য বড় হুমকি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ নীতি প্রণয়ন করেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ২০০৫ সালে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন দাখিল করেছে। ২০০৯ সালে এটি আরো সমৃদ্ধ করে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত ইস্যুগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিকারের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকার প্রণিত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

জলবায়ুসহিষ্ণু কৃষি উৎপাদনের সাথে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সম্পৃক্ত, এ কথা উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পর এসডিজি অর্জনে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষি খাতে এসডিজির নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে অগ্রাধিকার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কৃষি উৎপাদন এবং জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় গৃহিত উদ্যোগের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো লাভবান হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান, এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের কৃষিবিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার ড. শেখ তানভির হোসেন।

উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশের ১৯ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং দেশি-বিদেশি ৬ জন কৃষি উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন। এতে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় জলবায়ুসহিষ্ণু প্রযুক্তি প্রসারের মাধ্যমে উৎপাদনের প্রতিটি স্তরে দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃষি খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারের প্রয়াস বেগবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মে ২০১৯/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়