ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই মামলায় খালেদার জামিন বিষয়ে আদেশ ৫ জুলাই

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২১ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই মামলায় খালেদার জামিন বিষয়ে আদেশ ৫ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশের তারিখ আগামী ৫ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে ঢাকার পৃথক দুই মহানগর হাকিমের আদালত এ দিন ধার্য করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলা এবং ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগের মামলার জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে পৃথক দুই আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশের তারিখ ৫ জুলাই ধার্য করেন।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, জাকির হোসেন ভূইয়া, জয়নুল আবেদীন, হান্নান ভূইয়া প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

দুই মামলায় গত ১৪ জুন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির দিন বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। ওই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ওসিকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় খালেদা জিয়া ও তার প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়।

গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এ বি এম মশিউর রহমান মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর পর তা আমলে নিয়ে প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।

প্রচলিত আইনে মৃত ব্যক্তির বিচারের সুযোগ না থাকায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়। মামলাটিতে গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রাক্তন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলাটিতে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুই জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রীর ম্যাট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট, ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট, ১৯৪৬ সাল।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচ জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওই দিন জন্মদিন পালন করেন।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুন ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়