খায়রুল হকের পদত্যাগ ও গ্রেপ্তার দাবি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিষয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগ ও গ্রেপ্তার দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে আদালতকে হেয় করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে তিন দিনব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীদের সুপ্রিম কোর্টকে হেয়প্রতিপন্ন করে বক্তব্য প্রদানের প্রতিবাদে এবং নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি বিধিমালার গেজেট প্রকাশের দাবিতে আগামী রোব, বুধ ও বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকল বারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।’
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অপসারণ দাবি করে দেওয়া খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী কামরুল আপনি কোন নৈতিকতা নিয়ে কথা বলছেন? আপনি কি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন? কামরুল সাহেব, নিজের দিকে তাকালে লজ্জা করে না আপনার? আপনি তো সর্বোচ্চ আদালতে দোষী ও দণ্ডিত অপরাধী। আপনি সংবিধান রক্ষার শপথ ভঙ্গ করে এখনো মন্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন।’
‘দণ্ডিত মন্ত্রী’র বিচার বিভাগের সমালোচনা করাটা জাতির জন্য লজ্জাকর, এ মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এটাই স্বাভাবিক যে, দণ্ডিত অপরাধীরা সত্য ও ন্যায়বিচার সহ্য করবে না। তারা আইনের শাসনের কথা শুনলেই আঁতকে উঠবে। খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি হুমকি।’
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে এ বি এম খায়রুল হকের বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে যে তিক্ত ও প্রতিহিংসামূলক সমালোচনা করেছেন, সেটা তার চাকরির আচরণবিধির পরিপন্থী।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে এ বি এম খায়রুল হক দেশকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছেন, মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকই দায়ী।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ আগস্ট ২০১৭/রেজা/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন