খোয়ানো রাইফেল উদ্ধারের পর পুরো পুলিশ টিম প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় রাতে টহলরত পুলিশ টিম থেকে একটি চাইনিজ রাইফেল খোয়া যায়। পরদিন রাইফেলটি একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হলেও কীভাবে খোয়া গেছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
এমনকি কীভাবে অস্ত্রটি ডোবায় গেলো সে রহস্যও উদঘাটন হয়নি। তবে পুরো পুলিশ টিমই নিদ্রামগ্ন ছিল বলে অনেকেই মনে করছেন।
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থানার পুলিশের একটি টিম দায়িত্ব পালন করার সময় একটি চাইনিজ রাইফেল (হাতিয়ার নাম্বার ৭২) খোয়া যায়। এ ঘটনায় এ এসআই সুমন কুমার পাল সহ তিন কনস্টেবলকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই ৪জনকে ফতুল্লা মডেল থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার মধ্য রাতে ফতুল্লার রেল স্টেশন রোড এলাকার ওরিয়ন গ্রুপের বালুর মাঠ এলাকায় ফতুল্লা মডেল থানার এ এস আই সুমন কুমার পালের নেতৃত্বে পুলিশের ৩ কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেষ রাতের দিকে কনস্টেবল সোহেল রানার (ক-নং-১৯৮৪) চাইনিজ রাইফেল (হাতিয়ার নাম্বার ৭২) খোয়া যায়। কিন্তু কিভাবে অস্ত্র খোয়া গেল তা জানেন না কনস্টবল সোহেল রানা।
ওদিকে টিম লিডার এ এস আই সুমন কুমার পাল ওই সময় গাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরদিন সোমবার সকালে এলাকাবাসীর সহায়তায় দাপা বালুর মাঠের পার্শ্ববর্তী বরকত মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে খোয়া যাওয়া রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক। অস্ত্র উদ্ধার শেষে এ কাজে সহযোগিতার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং উদ্ধার কর্মীদের ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘এএসআই সুমন কুমার পালের নেতৃত্বে একটি টিম ফতুল্লা রেল স্টেশন রোড এলাকার ওরিয়ন গ্রুপের বালুর মাঠে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেষ রাতের দিকে অসাবধানতা বশত অস্ত্রটি খোয়া যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার কারণে এএসআই সুমন কুমার পালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ঘটনার দিন কিভাবে অস্ত্র খোয়া গেলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/১৫ মে ২০১৮/হাসান উল রাকিব/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন