ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘গণহত্যা দিবসে বিএনপি রহস্যজনকভাবে নীরব কেন?’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২৫ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘গণহত্যা দিবসে বিএনপি রহস্যজনকভাবে নীরব কেন?’

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় গণহত্যা দিবসে বিএনপি ও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রহস্যজনকভাবে নীরব কেন তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। একই সঙ্গে জাতীয় গণহত্যা দিবস বিষয়ে বিএনপি অবস্থান পরিষ্কার করারও আহ্বান জানান দলটির শীর্ষ নেতারা।

শনিবার রাজধানীর মিরপুর বাংলা কলেজে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় গণহত্যা দিবসের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ নেতারা এসব মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একাত্তরের গণহত্যা যেকোনো গণহত্যার চেয়ে ভয়াবহ ছিল। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে বিএনপি-খালেদা জিয়া রহস্যজনকভাবে নীরব কেন? এই গণহত্যা দিবস সম্পর্কে বিএনপি-খালেদা জিয়ার পরিষ্কার অবস্থান জানতে চাই। তারা কী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না বিপক্ষে স্পষ্ট করুক।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শপথ নিতে হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করবো।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘অপারেশন সার্চলাইট নামে ২৫ মার্চ তারা গণহত্যা শুরু করে। দীর্ঘ নয় মাস তারা গণহত্যা চালিয়েছে। একাত্তরের গণহত্যা সেদিন সারা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছিল। বিশ্ব বলেছিল ‘স্টপ জেনোসাইড’। আজ আবার বিশ্ব নেতাদের সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে এ দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই।’

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জামায়াত নেতা নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের সঙ্গে জোট করে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে, শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে জবাব দিয়েছেন তারা কোনো পক্ষের।

একাত্তরের গণহত্যা এবং পাকিস্তানি হানাদার তাদের এ দেশীয় দোসরদের বর্বরতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, তাদের নীতি ছিল মানুষ চাই না। মাটি চাই। খালেদা জিয়া কীভাবে একাত্তরের গণহত্যায় শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জাতি তা জানতে চায়। গণহত্যা দিবসে বিএনপি নিশ্চুপ কেন?

খালেদা জিয়া ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মেয়ে জামাই ডেভিড বার্গম্যানসহ যারা একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, সবার প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এদের ঘৃণা করি।

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগীদের বিচারের পাশাপাশি তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিতরণ করা উচিত।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি এজেন্ট হিসেবে ছিলেন। এজন্য পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যায় তিনি অন্যতম নায়ক ছিলেন। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো কটাক্ষ করলে বাংলার মানুষ তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য আখতারুজ্জামান, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, আসলামুল হক, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শিখর প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মার্চ ২০১৭/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়