ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গেইল-ভিলিয়ার্স-কোহলিদের রানগুলো যেন টেলিফোন ডিজিট!

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ২৪ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গেইল-ভিলিয়ার্স-কোহলিদের রানগুলো যেন টেলিফোন ডিজিট!

বেঙ্গালুরুর টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন নাথান কোল্টার-নাইল

ক্রীড়া ডেস্ক : লক্ষ্যটা ১৩২ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোটেই কঠিন কোনো লক্ষ্য নয়। যে দলটি লক্ষ্য তাড়া করতে নামবে, তাদের নাম আবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। যাদের পুরো টিম লিস্টে যাওয়ার দরকার নেই। তিনটি নাম বললেই প্রতিপক্ষ বোলারদের ভড়কে যাওয়ার কথা- ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলি। এদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপের বেঙ্গালুরুই কিনা কাল আইপিএলে ১৩২ রান তাড়া করতে নেমে অলআউট মাত্র ৪৯ রানে! দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি দলের কেউই। বল মোকাবেলাতেও দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল একজন। গেইল-ভিলিয়ার্স-কোহলিদের রানগুলো যেন টেলিফোন ডিজিট- ৭, ০, ১, ৮, ৯, ৮, ২, ০, ২, ৫, ০!

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে কাল ১৩১ রান করেও বেঙ্গালুরুকে ৮২ রানে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলে ১৫০-এর কম রান করে সবচেয়ে বড় জয় এটি। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই অধিনায়ক কোহলির উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। নাথান কোল্টার-নাইলের বলে মনিশ পান্ডেকে ক্যাচ দেওয়া কোহলি মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। তখনো যে জানত, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইনআপ! অস্ট্রেলিয়ান পেসার নিজের পরের ওভারে এসে ফিরিয়েছেন টি-টোয়েন্টির আরেক বড় তারকা ডি ভিলিয়ার্সকেও। মাঝের ওভারে উমেশ যাদবের শিকার মানদিপ সিং। ১২ রানেই ৩ উইকেট হারানো বেঙ্গালুরু ২৪ রানে হারায় কেদার যাদবকেও। এই উইকেটটিও কোল্টার-নাইলের।

তখনো এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন আগের ম্যাচে ঝড় তোলা গেইল। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেটে স্টুয়ার্ট বিনিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাদের ১৬ রানের জুটিটাই শেষ পর্যন্ত ইনিংস সর্বোচ্চ জুটি। ক্রিস ওকসের বলে কোল্টার-নাইলকে ক্যাচ দেওয়া গেইলই একমাত্র বল মোকাবেলায় দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন- ১৭ বলে ১ চারে ৭ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৯ রান যাদবের। বেঙ্গালুরু ৪৯ রানে অলআউট হয়েছে ৯.৪ ওভারে। যেটি ওভারের হিসাবে দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টি ইনিংস। সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ইনিংস বাংলাদেশের ক্লাব মোহামেডানের। ২০১৩ সালে সিলেটে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপে প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহামেডান ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল ৮.৪ ওভারে। বেঙ্গালুরুর ৪৯ রান আইপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর। আগের সর্বনিম্ন ছিল রাজস্থান রয়্যালসের ৫৮, ২০১৩ আইপিএলে কেপ টাউনে এই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে।

কোহলিরা লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন আরো। আইপিএলে এই প্রথম কোনো দলের একজন ব্যাটসম্যানও যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না! আগে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতে কলকাতা অলআউট হয়েছিল ১৩১ রানে। আইপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনো ম্যাচে ২০ উইকেটেরই পতন ঘটল। প্রথমবার ২০১০ আইপিএলে নাগপুরে ডেকান চার্জার্স-রাজস্থান ম্যাচে। কাল বেঙ্গালুরুর ১০টি উইকেটই নিয়েছেন কলকাতার পেসাররা। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৪ রানে ৩টি, ওকস ৬ রানে ৩টি, কোল্টার-নাইল ৩১ রানে ৩টি আর উমেশ ১৫ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট। আইপিএলে এই নিয়ে পঞ্চমবার কোনো ইনিংসে পতন হওয়া ১০টি উইকেটই নিলেন পেসাররা। কলকাতা ছাড়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দুবার, রাজস্থান ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একবার করে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ এপ্রিল ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়