ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

গ্রামকে শহর করার কাজ শুরু হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী

গাজী হানিফ মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রামকে শহর করার কাজ শুরু হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী

নরসিংদী সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী মেগা উদ্যোগ গ্রামকে শহর করার কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

তিনি বলেন, এর অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে। আর দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে একটি শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে।

রোববার নরসিংদীতে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প (জিপিইউএফপি) পরিদর্শন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জিপিইউএফপি প্রকল্প পরিচালক মো. রাজিউর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন বিসিআইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূইয়া প্রমুখ।

সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজ বছরে প্রায় ১৭ লাখ মে. টন সার আমদানি করতে হয়। জিপিইউএফপি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সার আমদানি নয় বরং রপ্তানি করা যাবে।

বর্তমানে পলাশ উপজেলায় ইউএফএফএল ও পিইউএফএফএল নামে যে দুটি সার কারখানা রয়েছে, এতে প্রতি টন ইউরিয়া উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার, ডাউনটাইম এবং রক্ষণাবেক্ষণ পুনরাবৃত্তির হার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিসিআইসি পলাশ ইউরিয়া সারকারখানার স্থলে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, শক্তিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব সারকারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। প্রকল্প আগামী জুনে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ক্রমবর্ধমান ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সুলভ মূল্যে কৃষকদের কাছে ইউরিয়া সার সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। এতে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ইউরিয়া সারের আমদানি হ্রাস করে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা এবং দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এটি পরিবেশবান্ধব সারকারখানা। এটিই দেশে প্রথম সারকারখানা,  যেখানে পরিবেশ দূষণকারী কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে গ্রহণ করা হবে এবং গ্রহণকৃত কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে ১০ শতাংশ ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।



রাইজিংবিডি/নরসিংদী/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/গাজী হানিফ মাহমুদ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়