আইলার ১০ বছর
ঘূর্ণিপাকে ঘরহারা আমিরুন
না, ভুল নয়! এখানেই ছিল বাড়িটা। ঠিক এখানেই। এই বিকল্প বাঁধের ওপরটায়। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সাকবাড়িয়া নদী। ওপারে সুন্দরবন। অন্যপাশে লোকালয়। বাড়িঘর। ধানক্ষেত। পুকুর। ডোবা। লোকালয়ের পাশ ধরে চলে গেছে আরেকটি সরু খাল। বাঁধের ওপরে ছিল আরও কয়েকটি ঝুপড়ি ঘর। সবই ঠিক আছে। কিন্তু আমিরুন নেছার ঘরটা খুঁজে পাচ্ছি না। সেবার শীত বিকেলের তাঁতানো রোদে পিঠ এলিয়ে দিয়ে তাকে ঘরের বেড়া ঠিক করতে দেখেছি। ঘরটা ছিল বেশ নড়বড়ে। খড়ের ছাউনি। পাতার বেড়া। ঘরের আশপাশে এলোমেলো আসবাবপত্র। দু’পাশেই জলরাশি। কিন্তু সবই যেখানে ঠিকঠাক! সেখানে সেই ঘরটা কোথায় গেল? নাকি ঠিকানা বদলেছেন আমিরুন নেছা!
এখানে আমিরুন নেছা ছিলেন? প্রশ্ন রাখি প্রতিবেশী কয়েকজনের কাছে।
হ্যাঁ ছিল। এখানেই তার ঘর ছিল। প্রতিবেশী জাহানারা বেগমের জবাব।
ঘরটি সরানো হলো কেন?
এখানের ঘরটি ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল। তারপর দূরে আরেকটি ঘরে ছিলেন। সে ঘরও ঝড়ের ঝাপটায় টিকেনি।
এখন কোথায় আছেন আমিরুন?
দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তর্জনী তুলে পাশের গ্রামটি দেখালেন জাহানারা।
যাবো সেখানে। নিয়ে যেতে পারবেন?
চলুন যাই। জাহানারা পথ দেখিয়ে নিয়ে যান সেই বাড়িতে।
মাত্র মিনিট দশেকের পথ। ঘরের দাওয়ায় বসেছিলেন আমিরুন। পরনে ছাপা শাড়ি। দু’হাতে চিকন বালা। ধবধবে সাদা চুল। অনেকদিন পর চেনা একজন মানুষের দেখা পেয়ে ভেতরে ভেতরে বেশ উৎফুল্ল। ঠোঁটে লেগে আছে হাসির রেখা। যেন তিন বছর আগের চেহারার সঙ্গে হুবহু মিল। ২০১৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত দু’বার ঘর ভেঙে যাওয়ায় এখানে এসে ঠাঁই নিয়েছেন। এটা আমিরুনের মামাতো বোন আকলিমা বেগমের ঘর। ছোট্ট ভিটেয় সরকারি খাসজমিতে থাকেন তারা। এরাও দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। আকলিমার স্বামী বাবুল ঢালী বনে মাছ ধরে। আমিরুনের দুরাবস্থা দেখে আকলিমা একদিন তাকে এখানে নিয়ে আসেন। ছেলেরা খোঁজ নেয় না বলে এখানেই আশ্রয় নিয়েছেন আমিরুন। কাজকর্ম করেন আর বিধবা ভাতার টাকা দিয়ে নিজের টুকিটাকি প্রয়োজন মেটান।
কেমন আছেন? প্রশ্ন করতেই আমিরুনের সহাস্য মুখটা আরও খানিক উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
ভালো আছি। বললেন তিনি।
কীভাবে চলে দিন?
এই বাড়িতে থাকি। ওইখানে ঘর ছিল, ঝড়ে ভেঙে গেছে। এখন কই থাকবো?
খরচপাতি কোথায় পান?
বিধবা ভাতা পাই, তিন মাস পরপর। তা দিয়ে কোনমতে চলি। এখানে কাজকর্ম করি।
ঘূর্ণিপাকে পড়েই জীবন এলোমেলো হয়েছে আমিরুন নেছার। ২০০৯ সালের আইলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্রোতে ভেসে গিয়েছিল ঘর। তারপরও জোড়াতালি দিয়েছিলেন সেই বাঁধের ওপরেই। কিন্তু এখন আর সে সুযোগটুকুও নেই। জীবন যতই শেষ প্রান্তের দিকে এগোচ্ছে, আমিরুন ততই নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর। অথচ এক সময় সব ছিল তার। স্বামী আবদুল আজিজ গাজী বেঁচে থাকাকালে দুই ছেলে এবং মেয়ের জামাইও তার খোঁজ নিত। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯৮৮ সালে এক ঝড়ে স্বামীর করুণ মৃত্যু আমিরুনকে কঠিন সংগ্রামের মুখে ফেলে দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আইলাসহ আরও অনেক ঝড় কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদ মোকাবেলা করেছেন আমিরুন একাই। জীবনযুদ্ধে হার না মানা এই মানুষটা পঁচাত্তর ছুঁতে না ছুঁতেই পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে বাধ্য হলেন। নিজের ঘরে তার আর থাকা হলো না।
খুলনা সদর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে কয়রা উপজেলা সদর। সেখান থেকে সোজা দক্ষিণে পিচঢালা পথে সুন্দরবনের গা ঘেঁষে সাকবাড়িয়া নদী। পাশে বেড়িবাঁধ। বাঁধ ধরে পুব দিকে এগোতেই চার নম্বর কয়রা নামক স্থানটি। আইলার প্রলয়ে এখানে সৃষ্টি হয়েছে বৃহৎ ভাঙন। প্রতিরোধ দেওয়া হয়েছে বিকল্প বাঁধ। ফসলি মাঠ আর লোকালয়ের গা ঘেঁষে অনেকখানি ঘুরে গেছে বিকল্প বাঁধটি। ঠিকানা হিসাবে চার নম্বর কয়রাই আমিরুন নেছার বাড়ি। কয়রার এই এলাকাটিতে ‘নাম্বার’ দিয়ে কিছু এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন- এক নম্বর কয়রা, দুই নম্বর কয়রা, তিন নম্বর কয়রা ইত্যাদি। এলাকার মানুষ এই এলাকাগুলো এভাবেই চেনে। এই পথে হাঁটতে গিয়েই আমিরুন নেছার সঙ্গে প্রথম আলাপ ২০১৬ সালে। ফলোআপ হিসাবে আবার তার খোঁজ নেই ২০১৮ সালে, ২০১৯ সালে। বছর ঘুরতে ঘুরতে মানুষের জীবন যে কতটা বদলে যায়- তা বোঝা যায় না, খোঁজ না নিলে। দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে শাফিয়া বেগম ছেলে নিয়ে থাকতেন মায়ের কাছেই, সেই বাঁধের ওপরের ছোট ঘরে। মেয়ের স্বামী মস্তিষ্ক বিকৃত। কিন্তু সে মেয়েও এখন আর নেই আমিরুনের কাছে। দুই ছেলে মজিবর গাজী আর হাবিব গাজী নিজেদের মত করে দূরে কোথাও থাকে, মায়ের খোঁজ নেয় না। ফলে আমিরুন নিজেই নিজের মতো থাকেন।
আমিরুনের সঙ্গে আলাপে স্পষ্ট হয়- দুর্যোগের ঘূর্ণিপাক তার জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে স্বামীর মৃত্যু না ঘটলে আমিরুন নেছার জীবনে হয়তো এত দুর্ভোগ আসতে না। সেবার কাঠ আর গোলপাতা নিয়ে খুলনা যাচ্ছিলেন স্বামী আজিজ গাজী। কিন্তু পথিমধ্যে ঝড়ের মধ্যে পড়েন। নৌকা ডুবে প্রাণহানি ঘটে। আমিরুন বরণ করে নেন বৈধব্য। এভাবেই জীবনের গতিপথ বদলাতে থাকে। ২০০৯ সালের আইলায় বাড়িঘর হারানোর আগ পর্যন্ত ছেলেরা মায়ের সঙ্গেই ছিল। তারা বনে মাছ ধরতো, মধু কাটতো। এভাবেই চলে যেত জীবন। কিন্তু আইলার প্রলয় তার জীবনে অন্ধকার নামিয়ে দেয়। সকালে খেলে আর বিকালে খেতে পারেন না। এলাকায় যেহেতু পানি সংকট, সে কারণে বিভিন্ন ঘরে পানি এনে দেওয়া ছিল তার কাজ। তখন তার বয়সও এতটা বাড়েনি। ভারি কাজ করা সম্ভব হয়েছে। মেয়েরাও তখন একই কাজ করতো মায়ের সঙ্গে। দুই মেয়ে আনোয়ারা আর শাফিয়ার কথা মনে করে ফুফিয়ে কেঁদে ওঠেন আমিরুন। মেয়েদের সঙ্গে একই পাতিলে রান্না হতো মায়ের। সে সময় এখন অতীত। চোখ মুছেন আমিরুন।
জীবনে বহুবার বাড়ি বদল করেছেন আমিরুন। দুর্যোগ তাকে তাড়িয়েছে। জীবনের অধিকাংশ সময় জোটেনি তিনবেলা খাবার। সকালে খেয়েছেন তো দুপুরে উপোস। দুপুরে খেয়েছেন তো রাতে আধপেটা। আইলাসহ বিভিন্ন সময়ের দুর্যোগ এ এলাকার বহু মানুষকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করলেও আমিরুন থেকে গেছেন এখানেই। অন্যান্যরা যেভাবে আত্মীয় স্বজনের সূত্র ধরে খুলনা কিংবা ঢাকা শহরে, এমনকি নিদেন পক্ষে উপজেলা সদরের কোথাও গিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন, সেভাবে পারতেন আমিরুনও। তারও দুই ছেলে শহরে থাকে। কিন্তু মায়ের খোঁজ নেন না তারা। তাই আমিরুনের এলাকা ছাড়া হননি।
কয় বার বাড়ি বদল করেছেন? প্রশ্ন করি আমিরুনের কাছে।
১০বার তো হবেই। আমিরুনের জবাব।
মূল বাড়ি কোথায় ছিল?
পাঁচ নম্বর কয়রা গ্রামের সাকবাড়িয়া নদীর তীরে, তর্জনী তুলে দেখান আমিরুন।
এরপর কোথায় যান?
নদীর পাড়েই বদল করেছি দু’বার।
এরপর?
পরে বেড়িবাঁধের ওপরে উঠি। এখানে এসে ঘর বদল করেছি অনেকবার।
কী সমস্যা এখন?
আয় রোজগার নাই। খাবার-দাবারে সমস্যা। থাকার ঘরে সমস্যা। অন্যের ঘরে থাকি।
ঘূর্ণিঝড় আইলায় এই এলাকার বহু মানুষের মতো আমিরুনের জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। বেড়িবাঁধ ভেঙে এ এলাকায় ঢুকেছিল লবণ পানি। ভেসে গিয়েছিল বাড়িঘর। সুপেয় পানির সংকট এ এলাকায় তীব্র আকার ধারণ করে। তিন বছর আগে বেড়িবাঁধের ওপরে ঝুঁপড়িতে থাকাকালে এক দুপুরে আমিরুনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কী খাবেন দুপুরে? জবাবে জানালেন পাশের এক বাড়ি থেকে পান্তা ভাত দিয়েছিল। তার কিছু অংশ সকালে খেয়েছেন, বাকিটা দুপুরের জন্য রেখেছেন। রাতে কী খাওয়া হবে জানেন না। মিঠা পানি দূর থেকে আনা সম্ভব নয় বলে পাশের নদী থেকে লবণ পানিই ব্যবহার করেন সব কাজে। থাকার ঘরটির দিকে তাকিয়ে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল তার অবস্থা। বন থেকে কুড়িয়ে আনা গোলপাতা দিয়ে নিজেই তৈরি করেছেন ঘরের চালা-বেড়া। কিন্তু সামান্য ঝড়েই উড়ে যায় চালা-বেড়া। আবার মেরামত করতে হয়। চালা-বেড়ার ক্ষতি হলে না হয় তা মেরামত করা যায় কিন্তু পুরো ঘরখানা উড়ে গেলে কী করেন আমিরুন! তখন তার কোনো উপায় থাকে না! কথা বলতে বলতে আমি তাকাই আমিরুনের ঘরের ভেতরে। কী আছে ঘরে? আছে একটি নড়বড়ে চৌকি। তার পাশে ভাঙা-মোচড়ানো হাড়ি-পাতিল-বালতি, একটি প্লাস্টিকের চালের ড্রাম, একটি পানির মটকা। চৌকির পাশে বেড়ার সঙ্গে ঝুলানো মাত্র দু’টি শাড়ি কাপড়, ত্রাণে পাওয়া একটি মাত্র কম্বল। এই হচ্ছে জীবন সায়াহ্নে এসে ধুঁকে ধুঁকে চলা আমিরুনের সম্বল। এত কষ্টে থাকার পরেও সাহায্য সহযোগিতা খুব একটা মিলে না। আসলে প্রান্তিকে বিপন্ন মানুষের পাশে সরকারি-বেসরকারি কোন সহযোগিতাই খুব একটা পৌঁছায় না। সৌভাগ্যক্রমে আমিরুন বিধবা ভাতার একটি কার্ড পেয়েছিলেন। এটিই এখন তাকে ওষুধপাতি কেনা থেকে শুরু করে অন্যান্য টুকিটাকি প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে।
সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা পান? প্রশ্ন করি আমিরুনের কাছে।
ওই বিধবা ভাতার একখানা কার্ড আছে। আর তো কিছু পাই না। জবাব আমিরুনের।
কেন, আইলার পর এত সাহায্য এলো, চাল-ডাল এলো, পেলেন না?
সাহায্য পাইতে পাওয়ার লাগে। আমাগো তো পাওয়ার নাই। আবার টাকাও নাই।
চেয়ারম্যান-মেম্বার আসে?
না।
তাদের কাছে গিয়ে বলেন নাই?
বলি। বললে কাজ হবে? টাকা দেওন লাগে। তাইলে খাতায় নাম ওঠে!
কী সহায়তা?
চাল-ডাল, আর কী!
অসুখ-বিসুখ হয়?
তেমন না।
জরুরি শারীরিক সমস্যায় কোথায় যান?
ওই কয়রা, আর কই যামু?
আলাপচারিতার ফাঁকে আমিরুনের স্মৃতিতে ভাসে আইলার সেই ভয়াবহতা। আজ থেকে দশ বছর আগে আইলায় সব ভেসে গিয়েছিল তার। খাওয়ার জন্য চাল-ডাল ছাড়া অন্য কোনো সহযোগিতা মিলেনি। তাও আবার পানি টেনে দিয়ে, কিংবা অন্যকোন কাজ করে খাতায় নাম উঠিয়েছেন। ঘর ভেঙে যাওয়ার পর বহুদিন ছিলেন এবাড়ি-ওবাড়ি। কিন্তু ঘর উঠাবেন কী দিয়ে? অবস্থাপন্ন একজনের ইট ভেঙে দিয়ে বিনিময়ে তার কাছ থেকে এনেছিলেন কিছু কাঠ। এ দিয়ে হয়েছে ঘরের খুঁটি। বন থেকে কুড়িয়ে এনেছিলেন কিছু পাতা আর ছোট ডালপালা। এসব দিয়ে বাঁধের ওপরে নিজের থাকার ঝুঁপড়িটা বানিয়েছিলেন। এতো গেল ঘর বানানোর কথা! কিন্তু সমস্যা যে আরও আছে! যেখানে ঘর উঠাবেন- সেই জমির মালিকের পারমিশন আছে? কিন্তু বাঁধের জমির আবার মালিক কে? এতো সরকারি জমি! না, এ জমিরও মালিক আছে। যার জমির ওপর দিয়ে এই বাঁধ গিয়েছে- সে-ই হচ্ছেন এই জমির মালিক। এইসব মালিকদের অনুগ্রহেই বাঁধে আশ্রয় নেন নিঃস্ব মানুষেরা। এজন্য কাউকে আবার গুনতে হয় বছরভিত্তিক অর্থকড়ি।
সুন্দরবনের গা ঘেঁষে সাকবাড়িয়ার পাশে রয়েছে আরও বহু মানুষের অস্থায়ী বাড়িঘর। এদের প্রত্যেকের ওপর দিয়ে বহুবার গেছে ঝড়ের ঝাপটা। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করেই টিকে আছেন এরা। দশ বছর আগে বয়ে যাওয়া আইলার প্রলয় এদের চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে এখনও। আমিরুনের মতো আরেকজন জাহানারা বেগম। স্বামী সাত্তার গাজী স্ট্রোক করে অচল হয়েছেন সেই কবে। এখন জাহানারাকেই সামলাতে হয় সব। তাদেরও ঘর ছিল, সাকবাড়িয়ার তীরে। ছিল জমিজমা। এখন নিঃস্ব। আইলা প্রলয়ের পর বহুদিন ছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে। সেটাই যেন ছিল নিরাপদ আশ্রয়। কিন্তু সেখানে তো আর বেশিদিন থাকা যাবে না। বাঁধের ওপরে ঘর বানানোর জায়গা খোঁজেন। ঠাঁই হয় আমিরুনের ঘরের পাশেই। জমির মালিকদের দাপটে ঘর বদল করতে হয় বারবার। আবার বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হলেও ঘর সরিয়ে নিতে হয়। এইসব নিয়েই সাকবাড়িয়া পাড়ের মানুষের জীবন।
আমিরুন, জাহানারাদের সঙ্গে আলাপে আলাপে বেলা পড়তে থাকে। পশ্চিম আকাশে হেলে পড়া সূর্যটা অস্তরাগের কাছাকাছি। গোধূলির হাতছানি। সাকবাড়িয়া নদীতে বৈঠা ডিঙির শব্দ ওঠে- ছালাৎ ছলাৎ। বনজীবী মানুষদের ঘরে ফেরার তারা। জামেনা, জরিনা, কোহিনূর, কাকলী, আবদুল আলীম, হোসেন বেপারীসহ আরও অনেকের গল্প আর শোনা হলো না! বিকল্প বাঁধ ঘুরে হাঁটতে থাকি কয়রার পথ ধরে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মে ২০১৯/তারা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন