ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চতুষ্টয়ের চতুর্থ বিশ্বকাপ

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৬ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চতুষ্টয়ের চতুর্থ বিশ্বকাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার।

২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার।  নয়তো পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা হয়ে যেত নড়াইল এক্সপ্রেসের।  ২০০৩ সালের পর ২০০৭, ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন মাশরাফি।  ২০১৫ বিশ্বকাপে ছিলেন দলের অধিনায়ক। এবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি।

২০০৭ বিশ্বকাপে মুশফিক, সাকিব ও তামিমের পথচলা শুরু। ত্রিরত্নের সেটাই ছিল প্রথম বিশ্বকাপ। ওই বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বকাপে মোট ২১টি ম্যাচ খেলেছে। প্রতিটিতেই ছিলেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এবারের বিশ্বকাপেও দেখা যাবে তাদেরকে।

‘চতুষ্টয়’- এবার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায়। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তাদের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ভাগ্য। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন দুজন- মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ১৯৯৯ সালের পর ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন রফিক। আশরাফুল ২০০৩ সালের পর ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। ফিক্সিংয়ে না জড়ালে এখনো খেলা চালিয়ে যাওয়া আশরাফুল হয়তো খেলতে পারবেন ২০১৫ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপ।

রফিক ও আশরাফুলের পাশে নাম লেখানোর অপেক্ষায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেন। ২০১১ বিশ্বকাপ ছিল দুজনের প্রথম। ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন বাংলাদেশের সেরা পারফরমার। দুটি সেঞ্চুরি করে গড়েছিলেন ইতিহাস। রুবেলও পিছিয়ে ছিলেন না।  ইংল্যান্ড-বধের আনসাং হিরো তো রুবেলই। এবারের বিশ্বকাপ দুজনেরই তৃতীয়।

বিশ্বকাপে কেমন চতুষ্টয়ের পারফরম্যান্স
বিশ্বকাপে ২১টি করে ম্যাচ খেলা মুশফিক, সাকিব ও তামিমের পারফরম্যান্স বেশ কাছাকাছি। মুশফিক ব্যাটিংয়ে ৫১০ রান করেছেন। সাকিব ২৩ উইকেটের সঙ্গে রান করেছেন সর্বোচ্চ ৫৪০। তামিমের রান ৪৮৩। মাশরাফির ১৬ ম্যাচে রান ১৬৫, উইকেট ১৮টি।

নির্দিষ্ট দিনে তাদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বেশ নজরকাড়া। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে তামিমের ৫১ রানের ইনিংস এখনো বাংলাদেশের সেরা ইনিংসের একটি। ওই ম্যাচেই মুশফিকের অপরাজিত ৫৬ রান তো মহামূল্যবান। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া মাশরাফি বোলিং ছিল এরকম ৯.৩-২-৩৮-৪। সাকিব বোলিংয়ে উইকেট না পেলেও ব্যাটিংয়ে করেছিলন ৫৩ রান।

২০১৫ বিশ্বকাপে নেলসনে তামিমের ৯৫ রানে ভর করেই তো বাংলাদেশ স্কটল্যান্ডের দেওয়া ৩১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপে মুশফিক ছিলেন সবচেয়ে ধারাবাহিক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রানের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ রান করেছিলেন। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সাকিব সব সময়ই মূল্যবান। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ও উইকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের দখলে।

শেষ চার বছরে তাদের পারফরম্যান্স
গত চার বছরে মাশরাফি বিন মুর্তজা সর্বোচ্চ ৫৬ ম্যাচ খেলেছেন। ৬৯ উইকেট ও ৩৭৮ রান করেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে এ চার বছরে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। ৪৮ ম্যাচে তামিমের রান ২৩৩৫। রঙিন পোশাকে এ সময়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৭টি। মুশফিকুর রহিম ৫৫ ম্যাচে রান করেছেন ১৯৪১, সেঞ্চুরির সংখ্যা ৪টি। আর সাকিব বরাবরের মতোই দারুণ কার্যকরী।  ৪৮ ম্যাচে ১৪০৪ রান, ১ সেঞ্চুরিসহ উইকেট সংখ্যা ৫৭টি। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৫৫ ম্যাচে ১১৮৫ রান ও বোলিংয়ে পেয়েছেন ৮ উইকেট।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ এপ্রিল ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়