ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চারপাশে বাঁশের চটার বেড়া, উপরে টিনের ছাউনি

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চারপাশে বাঁশের চটার বেড়া, উপরে টিনের ছাউনি

যশোর প্রতিনিধি: চারপাশে বাঁশের চটার বেড়া, উপরে টিনের ছাউনি, মেঝেতে পাটের চট, ভাঙ্গাচোরা ব্লাকবোর্ড- এমনই পরিবেশে পাঠদান চলছে কেশবপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রাক-প্রাথমিক স্কুলের।

কর্তৃপক্ষের অবহেলার পরও শিক্ষিকারা ঝরেপড়া রোধে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে চলেছেন।

মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ প্রকল্প। শিক্ষা বিস্তারের কাজে মসজিদের ইমামদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৩ সালে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক ও ঝরেপড়া কিশোর-কিশোরী এবং অক্ষর জ্ঞানহীন বয়স্কদের জন্য মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।

সারা দেশের মতো  কেশবপুরেও এ প্রকল্পের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক, সহজ কোরআন শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে চাহিদামতো শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ প্রকল্পের কয়েকটি প্রাক-প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনকালে এ চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলার আটন্ডা গ্রামের সোলাইমান হোসেনের বাড়িতে প্রাক-প্রাথমিক স্কুলে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছিলেন শিক্ষিকা রহিমা খাতুন। জানালেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি নিজের তৈরি ঘরে শিক্ষার্থীদের সকাল আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত পড়ান। ঘরটি টিনের ছাউনির হলেও মেঝে মাটির। চারপাশে বাঁশের চটার বেড়া। তিনি এর ওপর চট বিছিয়ে এই শীতের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের পড়ান। তিনি আরবি, বাংলা, অংক ও ইংরেজি বিষয়ে শিশুদের জ্ঞান দেন। তার প্রচেষ্টায় এ কেন্দ্রে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে থাকে।

দেখা যায়, শিক্ষার্থী লাবিবা সুলতানা ঐশী, মরিয়াম খাতুন, তারিন জামান জেবা, আব্দুল আওয়ালরা জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। একটি ব্লাকবোর্ড থাকলেও তা প্রায় ব্যবহার-অনুপযোগী। উপজেলার অধিকাংশ স্কুলের এমন বেহাল দশা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন কেশবপুর উপজেলা শাখার সুপারভাইজার আশিকুর রহমান জানান, এ উপজেলায় ৬৩টি প্রাক-প্রাথমিক স্কুল, ৮৮টি সহজ কোরআন শিক্ষা ও একটি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র চালু রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকে সাড়ে চার বছর থেকে সাড়ে পাঁচ বছরের বাচ্চারা লেখাপড়া করে থাকে।

ব্যবহার অনুপযোগী ব্লাকবোর্ড’র কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসে প্রতিটি স্কুলের চাহিদাপত্র নিয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই এসব সমস্যার সমাধান হবে।’

 

 

 

রাইজিংবিডি/যশোর/১৯ জানুয়ারি ২০১৯/বি এম ফারুক/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়