ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১০ বারুদে ম্যাচ (প্রথম পর্ব)

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৪ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১০ বারুদে ম্যাচ (প্রথম পর্ব)

২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে রোমাঞ্চকর এক জয়ের পর ভারতীয় খেলোয়াড়দের উল্লাস

আবু হোসেন পরাগ : দুয়ারে কড়া নাড়ছে আরেকটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যেটি বিশ্বকাপের পর আইসিসির সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টই দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডকে উপহার দিয়েছে প্রথম কোনো বৈশ্বিক শিরোপা। আবার ইংল্যান্ডকে দীর্ঘশ্বাসের আগুনে পুড়ে করেছে ছাই। ঘরের মাঠে দুইবার ফাইনালে উঠেও রানার্সআপের সান্ত্বনা নিয়ে থাকতে হয়েছে ইংলিশদের।

সেই ইংল্যান্ডেই ১ জুন শুরু হচ্ছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ওয়ানডের শীর্ষ আট দল খেলবে এতে। শুধু আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নামে এটি হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ আসর। আইসিসি নকআউট ট্রফি নামে প্রথম দুটি টুর্নামেন্ট ধরলে অষ্টম। আগের আসরগুলো দেখেছে বেশ কিছু রোমাঞ্চকর, উত্তেজনাপূর্ণ, বারুদে ম্যাচ। দুর্দান্ত ব্যাটিং, অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচের রঙ পাল্টে দিয়েছেন খেলোয়াড়রা। তেমনই বারুদে ১০ ম্যাচ নিয়ে রাইজিংবিডি'র এই আয়োজন। আজ থাকছে প্রথম পর্ব।


চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল ২০১৩, এজবাস্টন, ইংল্যান্ড বনাম ভারত

টস নির্ধারিত সময়েই হলো। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। এরপর চলছিল দুই দলের জাতীয় সংগীত। এমন সময়েই এজবাস্টনে হানা দিল বৃষ্টি। এমনই বৃষ্টি, যে ঘণ্টার পর ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও থামছিল না। ম্যাচ হবে কি না, সেটা নিয়েই তখন বড় শঙ্কা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর থামল বৃষ্টি। আম্পায়াররা ২৪ ওভারের ম্যাচের ঘোষণা দিলেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয় বিপত্তি। কিছুক্ষণ পর যে সেটিও বাতিল করতে হলো!

অবশেষে নির্ধারিত সময়ের ছয় ঘণ্টা পর যখন ম্যাচ শুরু হলো, ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে এলো ২০ ওভারে। কিন্তু ভারতের ইনিংসের ছয় ওভার পরই আবার বৃষ্টির বাগড়া। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় এক ঘণ্টা। পরে আবার শুরু হয় খেলা। শিখর ধাওয়ানের ৩১, বিরাট কোহলির ৪৩ ও শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজার অপরাজিত ৩৩ রানের সুবাদে ভারত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২৯ রান। মিডিয়াম পেসে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার রবি বোপারা।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। স্বাগতিকরা ৪৬ রানেই হারায় ওপরেই দিকের চার ব্যাটসম্যানকে। সেই ধাক্কা সামলে পঞ্চম উইকেটে এউইন মরগান ও বোপারা যখন গড়লেন ৬৪ রানের জুটি, ইংল্যান্ড তখন প্রথম কোনো ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর। তখনো কে জানত, সেই স্বপ্ন হতাশায় পরিণত হবে খানিক পরেই!

ইংল্যান্ডের শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ২৮। যে বোলার আগের তিন ওভারে ২৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য, সেই ইশান্ত শর্মাকে ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে  আনলেন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তে ভারতীয় সমর্থকরা তখন অবাক। কিন্তু সেই ইশান্তই 'জিরো' থেকে হলেন 'হিরো'। ভারতীয় পেসার দ্বিতীয় বলে ছক্কা খেলেও তৃতীয় ও চতুর্থ, পরপর দুই বলে ফেরালেন মরগান আর বোপারাকে। দুজনই ক্যাচ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। মুহূর্তেই পাল্টে গেল ম্যাচের চিত্র।

পরের ওভারে জাদেজা জস বাটলারকে ফেরালেন শূন্য রানে, টিম ব্রেসনান হলেন রানআউট। শেষ ওভারে ১৫ রানের প্রয়োজনে ইংল্যান্ড তুলতে পারল ৯। শেষ বলে ছক্কা হলে জয়, এমন সমীকরণে জেমস ট্রেডওয়েল বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারলেন না!  ধোনির অপ্রত্যাশিত বোলিং পরিবর্তনই ভারতকে এনে দিল ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয়, শিরোপা। প্রথম অধিনায়ক হিসেবে সব আইসিসি শিরোপা জয়ের অনন্য কীর্তি গড়লেন ধোনি।
 


চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০১৩, ম্যাচ ৪, গ্রুপ এ, কার্ডিফ, নিউজিল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা

লো স্কোরিং ম্যাচ অনেক সময়ই দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ হয়। এটি ছিল এমনই এক ম্যাচ। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনের ফ্ল্যাট উইকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬৫ রানেই অর্ধেক ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। অলআউট হওয়ার আগে করতে পারে মাত্র ১৩৮ রান। এর অর্ধেক রানই আবার একজনের, কুমার সাঙ্গাকার করেন ৬৮। দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল আর দুজন- তিলকারত্নে দিলশান ২০, থিসারা পেরেরা ১৫। লঙ্কানদের দেড়শ'র মধ্যে বেঁধে ফেলার বড় কৃতিত্ব  মিচেল ম্যাক্লেনাগানের। নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ৪৩ রানে নেন ৪ উইকেট।

নিউজিল্যান্ডের জিততে চাই ১৪০। সহজ লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্যটাই কঠিন হয়ে গেল শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার জাদুকরী বোলিংয়ে। নিউজিল্যান্ড যদিও  ১ উইকেট হারিয়েই তুলে ফেলেছিল ৪৮ রান। এরপরই ৮ বলের একটা ঝড়ে সব এলোমেলো। ১  উইকেটে ৪৮ থেকে নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ৪৯, ১ রানেই নেন ৩ উইকেট! কেন উইলিয়ামসনকে স্লোয়ার এক ফুলটসে এলবিডব্লিউ করে শুরুটা করেছিলেন মালিঙ্গা। রস টেলরকে ফিরিয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ, মার্টিন গাপটিলকে শামিন্দা এরাঙ্গা।

একটা সময় ৮০ রানেই ৬ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায়  ম্যাককালাম ভাইদের ব্যাটে। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও নাথান ম্যাককালাম সপ্তম উইকেটে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। জয় থেকে নিউজিল্যান্ড যখন আর ২৪ রান দূরে, মালিঙ্গা স্লোয়ার ইয়র্কারে বোল্ড করলেন ব্রেন্ডনকে। নিজের পরের ওভারে এসে আরেকটি ইয়র্কারে ফেরালেন নাথানকেও। তাতে জমে ওঠে ম্যাচ। তখনো যে নিউজিল্যান্ডের দরকার ১৬ রান, হাতে ২ উইকেট। জয় থেকে ৫ রান দূরে থাকতে কাইল মিলস নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হয়ে নাটকটা আরো জমিয়ে দিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয়ের হাসি হেসেছে নিউজিল্যান্ড। টিম সাউদির কার্যকরী ব্যাটিংয়ে কিউইরা জিতেছে ১ উইকেট আর ৮১ বল হাতে রেখে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের চার বছরের জয়খরাও ঘোচে এতে।
 


চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল ২০০৯, সেঞ্চুরিয়ন, অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড

আগের আসরেই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অসিদের সামনে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি। এর জন্য করতে হবে মাত্র ২০১ রান। আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে যে ঠিক ২০০ রান। এই পুঁজি নিয়ে জিততে হলে বোলিংয়ে অসাধারণ কিছু করে দেখাতে হতো শেন বন্ড, কাইল মিলসদের। কিউইরা শুরুটা অবশ্য দুর্দান্তই করেছিল। বন্ড দ্বিতীয় ওভারে ফিরিয়ে দেন টিম পাইনকে। পরের ওভারে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে ফেরান মিলস। তখন ৬ রানেই ২ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার!

শিরোপাটা কি তাহলে ধরে রাখতে পারবে না অস্ট্রেলিয়া? তখন অন্তত তেমনই শঙ্কা। কিন্তু সেই শঙ্কাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন শেন ওয়াটসন! আগের আসরের ফাইনালে তিনি হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। পরের ফাইনালেও নায়ক হলেন আবার। ওয়াটসন তৃতীয় উইকেটে ক্যামেরন হোয়াইটকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১২৮ রানের বড় জুটি। হোয়াইট ৬২ করে ফিরলেও ওয়াটসনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতেছে ৬ উইকেট আর ২৮ বল হাতে রেখে। ১২৯ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৫ রান করে টানা দুই আসরের ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ওয়াটসন।


চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০০৯, ম্যাচ ১১, গ্রুপ এ, সেঞ্চুরিয়ন, অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান  

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং। অসি পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি পাকিস্তান। মোহাম্মদ ইউসুফের ৪৫, কামরান আকমলের ৪৪ ও মিসবাহ-উল-হকের ৪১ রানের সুবাদে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে তোলে ২০৫ রান।

অস্ট্রেলিয়ার সামনে সহজ লক্ষ্য। ৩১ ওভারে ২ উইকেটে ১৪০ রান তুলে সহজ জয়ের পথে এগিয়েও গিয়েছিল অসিরা। পন্টিং-মাইক হাসির তখন ৮১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ১৭ ওভার থেকে চাই আর মাত্র ৬৫ রান। তখনো কে জানত, এই ম্যাচটাই গড়াবে শেষ বলে!

১২ ওভারের একটা ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ৪৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৮৭। এর মধ্যে ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মোহাম্মদ আসিফ এক ওভারে নেন দুই উইকেট। মিচেল জনসন যখন অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাঈদ আজমলের বলে বোল্ড হলেন, তখনো অস্ট্রেলিয়ার ২৫ বলে দরকার ১৯।

নবম উইকেটে ব্রেট লি ও নাথান হ্যারিৎজ দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। শেষ ওভারে দরকার ৪। উমর গুলের প্রথম চার বল থেকে দিলেন মাত্র ২। দুই বলে চাই ২। পরের বলে লি সিঙ্গেল নিয়ে স্কোর করেন সমান। শেষ বলটি গুল করলেন দারুণ। বল করলেন অফ স্টাম্পের বাইরে। ব্যাটই ছোঁয়াতে পারলেন না  হ্যারিৎজ। নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে আগেই এগিয়ে গিয়েছিলেন লি। উইকেটকিপার আকমলের থ্রো মিস করল স্টাম্প, বাই থেকে ১ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া পেল ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়। অস্ট্রেলিয়া টানা চতুর্থবারের মতো উঠে গেল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে।
 


চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০০৬, ম্যাচ ১০, গ্রুপ এ, মুম্বাই, অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ

'শান্ত' ক্রিকেটারদের অন্যতম একজন ক্রিস গেইল। সেই গেইলই সেদিন মাইকেল ক্লার্কের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন। এই একটি তথ্যই বলে দিচ্ছে, ম্যাচটা কেমন উত্তাপ ছড়িয়েছিল!

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ২৩৪ রান। এতে বড় অবদান রুনাকো মর্টন ও ব্রায়ান লারার।  ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর এই দুজন পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১৩৭ রানের বড় জুটি। সর্বোচ্চ ৯০ রান মর্টনের। অধিনায়ক লারার ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়নি ভালো। ১৭ রানের মধ্যেই ফিরেছেন শেন ওয়াটসন ও রিকি পন্টিং। একটা সময় স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৮১। তখনো এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন ওপেনার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তার সঙ্গে তখন যোগ দিয়েছেন ক্লার্ক। দুজন এগিয়ে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। দারুণ জমে উঠেছিল এ জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দূরে সরে যাচ্ছিল ম্যাচ থেকে। সেজন্যই মনে হয় এগিয়ে গিয়ে ক্লার্কের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়ালেন গেইল।

ওদিকে গিলক্রিস্ট এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু মাইলফলক থেকে ৮ রান দূরে থাকতে রানআউট হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। গেইলের বল গালিতে ঠেলে রান নিতে কল করেছিলেন  ক্লার্ক। নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে ছুটেছিলেন গিলক্রিস্ট। কিন্তু ক্লার্ক যখন তাকে ফিরিয়ে দিলেন, ততক্ষণে ওয়েন হিন্ডসের থ্রো থেকে বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দিয়েছেন গেইল। ১২০ বলে ১১ চারে ৯২ রানের ইনিংসটি সাজান গিলক্রিস্ট।

শেষ চার ওভারে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। কিন্তু ৪৭তম ওভারে ডোয়াইন ব্রাভোর প্রথম বলে ক্লার্ক (৪৭) ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরলে কার্যত ম্যাচ শেষ হয়ে যায় সেখানেই। ৪৮তম ওভারের শেষ দুই বলে মাইক হাসি ও ব্রেট লিকে ফেরানোর পর শেষ ওভারের প্রথম বলে ব্র্যাড হগকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক করেন জেরোম টেলর। ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারের প্রথম হ্যাটট্রিক এটিই। অস্ট্রেলিয়াকে ২২৪ রানে অলআউট করে ১০ রানে ম্যাচ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তথ্যসূত্র: আইসিসি, ক্রিকইনফো।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মে ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়