ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে : অ্যাটর্নি

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে : অ্যাটর্নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলার রায়ে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘রায়ে প্রমাণিত হয়েছে অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক, যে বাহিনীরই হোক আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে।’

তিনি বলেন, ‘সাত খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এলে তা দ্রুত শুনানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রাখতে চেষ্টা করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

প্রসঙ্গত, এই হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই র‌্যাবের সাবেক সদস্য।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা হলেন চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকিরা হলেন সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তাঁর সহযোগী মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আলী মোহাম্মদ, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান (চার্চিল), সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে সেলিম, সানাউল্লাহ ও শাহজাহান পলাতক রয়েছেন।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পেয়েছেন র‌্যাব-১১-এর সাবেক সদস্য এএসআই আবুল কালাম আজাদ (অপহরণের দায়ে ১০ বছর), এএসআই বজলুর রহমান (সাক্ষ্য-প্রমাণ সরানোর দায়ে ৭ বছর), এএসআই কামাল হোসেন (অপহরণের দায়ে ১০ বছর), করপোরাল মোখলেছুর রহমান (অপহরণের দায়ে ১০ বছর), করপোরাল রুহুল আমিন (অপহরণের দায়ে ১০ বছর), হাবিলদার নাসির উদ্দিন (সাক্ষ্য-প্রমাণ সরানোর দায়ে ৭ বছর), কনস্টেবল বাবুল হাসান (অপহরণের দায়ে ১০ বছর), কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (অপহরণের দায়ে ১০ বছর, সাক্ষ্য-প্রমাণ সরানোর দায়ে ৭ বছর) ও সৈনিক নুরুজ্জামান (অপহরণের দায়ে ১০ বছর)।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

লাশ উদ্ধার হওয়ার পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৭/মেহেদী/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়