ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান, সম্পাদক আব্দুল বাকী

আশরাফুল ইসলাম আকাশ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫০, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান, সম্পাদক আব্দুল বাকী

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে গবেষণা পরিচালক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের দুইটি প্যানেল প্রতিযোগিতা করলেও নেই বিএনপিপন্থী সাদা দল।

শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত বাকি সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দ আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, কোষাধ্যক্ষ একাউন্টিং এন্ড ইনফর্মেশন সিস্টেম সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

এছাড়া দশ জন সদস্য হলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লীমা হক, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম (জলি), শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিল্পী রানী সাহা, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক বিদ্যুৎ কুমার বালো, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: জাকির হোসেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিভাস কুমার সরকার, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আসাদুজ্জামান ও ফিন্যান্স বিভাগের প্রভাষক মো: ইমরান হোসাইন।

নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, মূল্যবোধে বিশ্বাসী ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের দুইটি গ্রুপ থেকে দুইটি প্যানেল অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে নীলদল মাঠে থাকলেও নেই বিএনপিপন্থী সাদা দল। তবে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা নীল দলের একটি প্যানেলকে ভেতরে ভেতরে সমর্থন দিয়েছেন এবং তাদেরকেই ভোট দিয়েছেন বলে বলাবলি হচ্ছে।

এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জহির উদ্দিন আরিফ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত হয়েছে। সব মহলকে সংযুক্ত করে নির্বাচন পরিচালনার চেষ্টা করেছি।’

নির্বাচনে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪৬৫ জন শিক্ষক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নীল দলের দুই পক্ষ থেকে দুইটি প্যানেল অংশগ্রহণ করে। একটি প্যানেল সভাপতিসহ ৬টি পদে জয়ী হয়েছে। আপর প্যানেল সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি পদে জয়ী হয়েছে। কোনো প্যানেল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিষয়ে কমিশনার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দল নামের যে দলটি বর্তমানে রয়েছে তারা কোনো প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি সাদা দলের হয়েও কোনো প্রার্থী আমার কাছে ফরম জমা দেননি।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ডিসেম্বর ২০১৭/আশরাফুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়