জাতিসংঘ কমিটিতে পররাষ্ট্র সচিব জয়ী

সচিবালয় প্রতিবেদক : সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতিসংঘের কমিটি অন দ্য রাইটস্ অব অল মাইগ্রান্ট ওয়াকার্স অ্যান্ড মেম্বারস্ অব দেয়ার ফ্যামিলিজের (সিএমডব্লিউ) নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থী পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে জাতিসংঘের সিএমডব্লিউ নির্বাচনে বাংলাদেশ পুনঃনির্বাচিত হলো।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের প্রার্থী পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক গতকাল জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ২০১৮-২০২১ মেয়াদের নির্বাচনে ৫১ ভোটের মধ্যে ৪৬ ভোট পেয়ে সদস্য হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।

সিএমডব্লিউর এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর এটাই সর্বাধিক ভোট। পররাষ্ট্র সচিব চার বছর মেয়াদি এই কমিটিতে একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথমবারের মতো অভিবাসীদের অবৈধ পাচার রোধকল্পে একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত ‘গ্লোবাল মাইগ্রেশন কমপ্যাক্ট’ প্রণয়নের জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব ২০১৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। গ্লোবাল কমপ্যাক্ট তৈরির বিষয়ে জাতিসংঘে এখন আনুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশ এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সিএমডব্লিউর সদস্য হলো; যা দেশের ৯ মিলিয়ন অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ বিশ্বব্যাপী অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করল।

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশান অব দ্য রাইটস্ অব অল মাইগ্রান্ট ওয়াকার্স অ্যান্ড মেম্বারস্ অব দেয়ার ফ্যামিলিজের (আইসিআরএমডব্লিউ) ৫১টি দেশ আজ সিএমডব্লিউর পরবর্তী ৪ বছর মেয়াদের জন্য নতুন সাতজন বিশেষজ্ঞকে নির্বাচিত করল; যারা জানুয়ারি ২০১৮ থেকে কাজ শুরু করবেন। সিএমডব্লিউর ১৪ সদস্যের পরিষদ আইসিআরএমডব্লিউর দেশসমূহের অভিবাসী কর্মীদের মানবাধিকার রক্ষা এবং সিএমডব্লিউর সদস্য নয় এমন দেশগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনীয় চুক্তিস্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশ ২৪ আগস্ট ২০১১ সিএমডব্লিউর চুক্তি অনুস্বাক্ষর করে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে এই কমিটিতে আলবেনিয়া, শ্রীলংকা, কলম্বিয়া, আজারবাইজান, সেনেগাল ও নাইজারের প্রার্থীরাও নির্বাচিত হয়েছেন।

মাইগ্রেশনের একজন খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত মো. শহীদুল হক, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সদর দপ্তরের পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি ২০১৬ মেয়াদে গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ‘গ্লোবাল কমপ্যাক্ট’ ধারণাটি এগিয়ে নিতেও তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ নিউইয়র্ক ও জেনেভায় জাতিসংঘের ‘গ্রপ অব ফ্রেন্ডস্ অব মাইগ্রেশন’ এর নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং অত্যন্ত সক্রিয় সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে অভিবাসন বিতর্কে অংশ নিচ্ছে। 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জুন ২০১৭/হাসান/এসএন