ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সিরিজ বোমা হামলার এক যুগ

জেএমবির বড় নেতারা আইনের আওতায়

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪২, ১৭ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জেএমবির বড় নেতারা আইনের আওতায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা করে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টে এ হামলার পর পুলিশসহ সরকারের সংস্থাগুলো নড়েচড়ে বসে।

ইতোমধ্যে জেএমবির শীর্ষ নেতাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করছেন। তবে হামলার পর এক যুগ পার হলেও এখনো অনেক জঙ্গিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনার পর জেএমবিকে পর্যুদস্তু করে ফেলা হয়েছে। তবে তারা এখন সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। অবশ্য এটাও ঠিক, বাংলাদেশে বড় ধরনের হামলা করার সক্ষমতা নেই সংগঠনটির। কেননা, ওই হামলার পর জেএমবির পুরো নেটওয়ার্ক জানার পাশপাশি তাদের বড় সব নেতাদের আইনে আওতায় আনা হয়েছে এবং অনেকের বিচার করা হয়েছে।’

রাইজিংবিডির প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘সংগঠিত হওয়ার অংশ হিসেবে অর্থ সংগ্রহে ছিনতাই ও ডাকাতি করে জঙ্গিরা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে আগের মতো তারা এ ধরনের অপরাধ করতে পারছে না। তারপরও জেএমবির ব্যাপারে নিবিড় নজরদারি আছে।’

পুলিশ ও র‌্যাব বলছে, সিরিজ বোমা হামলার পরপরই শুরু হয় জেএমবিবিরোধী জোরালো অভিযান। জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম (বাংলা ভাই), আতাউর রহমান সানি, খালেদ সাইফুল্লাহসহ প্রায় ৪৫০ জঙ্গিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তারা এক বা একাধিক মামলার আসামিও। এর মধ্যে ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মামলায় ২০০৭ সালে ফাঁসি কার্যকর করা হয় শীর্ষ ছয় জঙ্গির। দায়ের করা হয় ১৬১টি মামলা। আসামি করা হয় ১ থেকে দেড় হাজার আসামিকে। পরে পুলিশ তদন্ত করে সবগুলো মামলায় ৬৬০ জঙ্গির নাম উল্লেখ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এসব আসামির অনেকেই ভারতে পালিয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পুরনো বা মূল ধারার জেএমবির নেতৃত্ব দিচ্ছে ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি সালাউদ্দিন সালেহীন। সে জেএমবি পুনর্গঠনের কাজ করছে। ভারতে তার সঙ্গে আরো কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে থাকতে পারে। ২০১৫ সালের শেষের দিকে মতাদর্শগত পার্থক্য ও নেতৃত্ব সংকটের কারণে জেএমবি থেকে একটি বড় অংশ বেরিয়ে গিয়ে নব্য জেএমবি তৈরি করে। যার নেতৃত্বে ছিল তামিম চৌধুরী। তামিম ইতোমধ্যেই বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। আর ওই সময় শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পর জেএমবির দায়িত্ব নেয় মাওলানা সাঈদুর রহমান। ২০১০ সালে তাকেও গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ আগস্ট ২০১৭/মাকসুদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়