ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জয় হয়েছে গণতন্ত্রের

আলী নওশের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ১ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জয় হয়েছে গণতন্ত্রের

মনিরুল হক সাক্কু ও জয়া সেনগুপ্তা

নতুন নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে একই দিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ নেয়। এতে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও তাদের  সমর্থন ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতি। এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তা জয়লাভ করেছেন।

কুমিল্লা সিটি করেপোরেশনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় নৌকা বনাম ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল বেশি।। শেষ পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে এ দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশবাসী স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছে। এখন বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কতটা সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হবে, তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে।

কুমিল্লায় বিজয়ী হওয়ায় মনিরুল হক সাক্কুকে আমরা অভিনন্দন জানাই। নির্বাচনের ফল যাই হোক- তা মেনে নেবেন, ভোটের আগে এমনটিই বলেছিলেন আওয়ামী লগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। ফল ঘোষণার পর বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি। তার এমন উদারতার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই আঞ্জুম সুলতানা সীমাকেও। পাশাপাশি দেশে সব ধরনের নির্বাচনে বিজয়ীকে অভিনন্দন জানানোর এ ধারা অব্যাহত থাকবে, এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের।

সুনামগঞ্জে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তা বিজয়ী হওয়ায় তাকেও আমাদের অভিনন্দন। সেসঙ্গে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সব রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারদেরও ধন্যবাদ জানাই আমরা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বেশ তর্ক-বিতর্ক ছিল। নতুন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত হওয়ার পর কার্যক্ষেত্রে কমিশন কেমন করে সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহল ও দেশবাসীর গভীর আগ্রহ ছিল। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। নির্বাচনের ফল যাই হোক এতে ব্যক্তি বা দলবিশেষ নয়, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের। নতুন নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার সক্ষমতা দেখিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সব পক্ষ যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে, তাও প্রশংসার দাবিদার।

গণতন্ত্রের এই জয়ের ধারা আগামী সব নির্বাচনেও পরিলক্ষিত হবে এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের। এ দুটি নির্বাচন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর সব রাজনৈতিক দলের আস্থা তৈরির সহায়ক হবে। আগামীতে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনে যাতে সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত থাকে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয় এটাও নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এ জন্য এ বিষয়ে এখন থেকেই নির্বাচন কমিশনকে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ এপ্রিল ২০১৭/আলী নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়