ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

টানা ৬ দিন বরিশালের ১০ রুটে বাস চলছে না

জে.খান স্বপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ৮ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টানা ৬ দিন বরিশালের ১০ রুটে বাস চলছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : টানা ৬ দিন ধরে বরিশাল-ঝালকাঠী-পিরোজপুরের ১০টি রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। অন্যদিকে বেকার হয়ে পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া শতাধিক বাসশ্রমিক।

বরিশাল বাস মালিক সমিতির সাথে রুট হিস্যার দ্বন্দ্বে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির ডাকে ৩ জানুয়ারি থেকে ওই ১০টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

টানা ৬ দিন ধরে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহালেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

গত ৩ জানুয়ারি বুধবার সকাল থেকেই বরিশাল থেকে সরাসরি ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পাথরঘাটা, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, রাজাপুর, নলছিটি, মোল্লারহাট ও খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ঝালকাঠী থেকে ওই সকল রুটে বাস চলাচল করছে। শুধুমাত্র বরিশালের ৬ কিলোমিটার রাস্তায় কোন বাস চলাচল করছে না। আর এই ৬ কিলোমিটারের জন্যই চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

বাস মালিকদের একটি সূত্র জানায়, দুই বাস মালিক সমিতির সমঝোতার লক্ষ্যে ২ জানুয়ারি বিকেলে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার। কিন্তু সে বৈঠকে রূপাতলী বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ যোগ না দেওয়ায় বাস চলাচল বন্ধের ডাক দেয় ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতি।

ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার শাহ আলম বলেন, বরিশালের সাথে সমন্বয় ব্যবসায় নেমে ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতিকে ঠকতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। ইতিপূর্বে এ নিয়ে বারবার বলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ফলে ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ করে দিলে প্রশাসনের আশ্বাসে তা স্থগিত করা হয়। ওই আশ্বাসে বলা হয়েছিল ২ জানুয়ারি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দুই বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বৈঠক হবে। কিন্তু ওই সভায় বরিশালের বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের কেউই উপস্থিত হয়নি। এ কারণে আমরা আবারও ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘এখন আর বৈঠক নয়, সরাসরি দাবি পূরণ করলে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

অপরদিকে ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতির এই ধর্মঘট অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের হয়রানীর জন্যই এই ধর্মঘট। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হচ্ছে।’



রাইজিংবিডি/বরিশাল/৮ জানুয়ারি ২০১৮/জে. খান স্বপন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়