ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ডিনামাইট দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে বিজিএমইএ ভবন

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডিনামাইট দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে বিজিএমইএ ভবন

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ডিনামাইট দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে রাজধানীর হাতিরঝিলে তৈরি করা পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবন।

মঙ্গলবার দুপুরে ভবনটির উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

জেসমিন আক্তার বলেন, ভবনটি ভাঙতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিনামাইট ব্যবহার করে আমরা ভাঙার কাজ করব। সেই অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, আজ থেকে ভাঙার কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে আমরা তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় দিয়েছি। তারা এখনো মালামাল সরাচ্ছে। মালামাল সরানো শেষ হলেই আমরা ভাঙার কাজ শুরু করব। ভাঙার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে পার্ট বাই পার্ট ডেকোরেশন খুলে নেয়া হবে। এরপর ডিনামাইট ব্যবহার কতে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।

ভবনটি সিলগালা করা হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সিলগালা করা হবে না। মালামাল সরানোর পর ভবন ভাঙার কাজ শুরু হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ১৬ তলা ওই ভবনে যান রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ভবন ভাঙার আধুনিক সব যন্ত্রপাতিও রয়েছে তাদের সঙ্গে। ভবন থেকে মালামাল সরাতে দুঘন্টা সময় দেওয়া হয়। পরে তা আরো এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়।

রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে এসেছেন তারা। ভবনে এখনো দু-একটি অফিস রয়েছে। তাদের মালামাল দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরপর বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য লোক ডাকা হবে।

তিনি আরো জানান, ভবনের বিভিন্ন তলায় ১৯টি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। আপাতত এসব প্রতিষ্ঠানের মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এরপর ভবন ভাঙার কাজ শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে হাতিরঝিলে বিজিএমইএ’র ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। সে সময় আদালত এ ভবনকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে তা ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন।

এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে। কিন্তু ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে তা খারিজ হয়ে যায়। তথন রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

পরে ভবন ছাড়ার জন্য উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। প্রথমে ছয় মাস এবং পরে সাত মাস সময় দেন আদালত। সর্বশেষ গত বছর নতুন করে এক বছর সময় দেওয়া হয় তাদের। সে সময় তারা মুচলেকা দেয় যে, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না।

সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিলেন আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেমেছে রাজউক।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ এপ্রিল ২০১৯/নাসির/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়