ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ডেসটিনির সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৪, ২৮ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডেসটিনির সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের সম্পত্তি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় কুচক্রী মহলের দখলে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারী ও পরিবেশকরা।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ডেসটিনির শীর্ষ পরিচালকদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম নামে ডেসটিনির একজন বিনিয়োগকারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ডেসটিনির কেনা বিভিন্ন বাগানের গাছ ও জমি দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। এছাড়া, রাজধানীর আনন্দ ও ছন্দ সিনেমা হলের কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। এই সিনেমা হল থেকে মাসে ২০-২৫ লাখ টাকা আয় হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই অর্থ ডেসটিনির ক্রেতা ও পরিবেশকরা পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছেন না। আদালতের নির্দেশে পুলিশকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেওয়া সত্বেও স্থাপনা ও অর্থ লুটপাট ও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কলাবাগান থানা এলাকার ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোডের নাসির ট্রেড সেন্টারের ৬, ৭ ও ৮ তলায় ডেসটিনি গ্রুপের কার্যালয় ছিল। সেখান থেকে উন্নত মানের অফিস ফার্নিচার, অত্যাধুনিক কম্পিউটার সার্ভার সিস্টেম, আধুনিক ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মিলে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে গেছে ভবনটির মালিক পক্ষ।’

শহিদুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ১৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে চার তারা মানের একটি হোটেল অষ্টম তলা পর্যন্ত কাঠামো নির্মাণ শেষে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এটি ধ্বংস হবার পাশাপাশি মাদক সেবন ও অনৈতিক কাজের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। খুলনা শহরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭ তলা এবং বরিশাল শহরে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬ তলা বাণিজ্যিক ভবনের ভূ-গর্ভস্থ অংশের নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পর বন্ধ হয়ে গেছে। এসব জায়গায় একটি কুচক্রী মহল মাছ চাষ করছে। রাজধানীর কাকরাইলে রাজমনি ঈশা খাঁ ভবনের পাশে এবং উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির জায়গা পুলিশ কমিশনারের হেফাজতে থাকা অবস্থায় সেখানে জোর করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে এবং ভবন তৈরির কাজ চলছে। বান্দরবানের পাইতং, চট্টগ্রামের লামা, হাটহাজারী ও সাতকানিয়ায় ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রজেক্টের বাগান অরক্ষিত থাকায় বনদস্যুরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ গাছ কেটে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা শহরে ডেসটিনির ব্যয়বহুল সাজসজ্জাপূর্ণ অফিসগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ নভেম্বর ২০১৮/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়