ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

তামিলনাড়ুতে পুলিশের গুলিতে নিহত ১২

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৮, ২৩ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তামিলনাড়ুতে পুলিশের গুলিতে নিহত ১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তুতিকোরিনে বেদান্ত স্টারলাইট কপার কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ১২ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার এ ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যে।

তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী শহর থুদুকুড়িতে (তুতিকোরিন) স্টারলাইট কপার কারখানার বিরুদ্ধে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ১০০ দিন আগে। থুদুকুড়িতে ওই কারখানা বিস্তারের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখে। প্রতিবাদ জানাতে পথে নামেন ১৮ গ্রামের মানুষ। কারখানা বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।  চলচ্চিত্র অভিনেতা কমল হাসান থেকে শুরু করে তামিল সিনেমা জগতের অনেকেই সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার আন্দোলনের ১০০ দিন উপলক্ষে সকাল থেকেই বড়সড় বিক্ষোভের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কয়েক হাজার মানুষ স্টারলাইট কারখানার বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করতে চাইলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বরং জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। কিন্তু বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করেই শহরের মধ্যে দিয়ে মিছিল করে এসে কালেক্টরেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যান আন্দোলনকারীরা। মিছিল কালেক্টরেটে পৌঁছলে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে নিশানা করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশের গোটা দশেক গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কালেক্টরেটেও আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায় পুলিশ।

এর পরেই বিভিন্ন এলাকায় হাঙ্গামা চালাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। স্টারলাইট কারখানার কর্মীদের আবাসেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী অবশ্য দাবি করেছেন, ২০ হাজার উত্তেজিত জনতাকে অন্য কোনোভাবে আটকাতে না পেরে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধী, রজনীকান্ত, কমল হাসন, এম কে স্ট্যালিনরা।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের মতে, ‘‘সরকারি সন্ত্রাসের নির্মম উদাহরণ এটা। অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল মানুষ। তাদের হত্যা করা হল।’

কমল হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘কারখানার কারণে মানুষ মরছিল। এখন মরতে হল সরকারের জন্য।

দু’দশক থেকেই অবশ্য এলাকার মানু়ষের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে সংস্থাটিকে। প্রতিবাদীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, তামার কারখানা থেকে বিষাক্ত উপজাত বেরোয়। তার ফলেই এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে যাচ্ছে। কারখানার ক্ষতিকর প্রভাবে গলা ও চোখের ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে এলাকায়। বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, ত্বকের অসুখও। এ বছর মার্চের ২৯ তারিখ থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারখানাটি ১৫ দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে সংস্থাটি দাবি করে, তাদের বিরুদ্ধে আনা পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সূত্র : আনন্দবাজার ও এনডিটিভি অনলাইন



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মে ২০১৮/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়