ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

তিন বন কর্মকর্তাসহ ১২ জন বরখাস্ত

আলী আকবর টুটুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ৮ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তিন বন কর্মকর্তাসহ ১২ জন বরখাস্ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বনবিভাগ।

বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী তাদের বরখাস্ত করেন।

বরখাস্তকৃতরা হলেন- সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া ক্যাম্পের ফরেস্টার কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, বনপ্রহরী বিধান চন্দ্র হালদার, আলী আহম্মাদ, নৌকা চালক সুলতান হাওলাদার, শরণখোলা রেঞ্জের গোলপাতা কুপের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন, মোবারক হোসেন, বন প্রহরী হারুন অর রশিদ, আব্দুল আউয়াল, মো. বাদশা শেখ, আব্দুর রশিদ শিকদার, নৌকা চালক সেলিম সরদার ও নুরুল ইসলাম।

বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বরখাস্তের সত্যতা নিশ্চিত করে আজ দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের তিন ফরেস্টার, নৌকা চালক ও বন প্রহরীসহ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদের বিরুদ্ধে শরণখোলা রেঞ্জ থেকে গোলপাতার আড়ালে বন থেকে সুন্দরী গাছ কেটে পাচার এবং চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া টহল ফাঁড়ি এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার ঘনফুট সুন্দরী গাছ কেটে পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত এপ্রিলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে কর্মরত অন্তত ১৫ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে সুন্দরবনের মূল্যবান সুন্দরী গাছ কেটে পাচার করার অভিযোগ পাই। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের উপ বন সংরক্ষক বশিরুল মামুনকে একটিতে এবং শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোহম্মদ হোসেনকে অন্যটিতে প্রধান করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন  গত ৪ মে  জমা দেন তারা। পরে এদেরকে স্ব স্ব কর্মস্থল থেকে তুলে নেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/৮ মে ২০১৭/আলী আকবর টুটুল/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়