ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

তৃপ্তির হাসি নিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৭ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তৃপ্তির হাসি নিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী

কেএমএ হাসনাত : একরাশ তৃপ্তির হাসি মুখে নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে তার হেয়ার রোডস্থ সরকারি বাস ভবন ‘তন্ময়’ থেকে বের হন।

খুব কম সময়ই অর্থমন্ত্রীর মুখে বিষন্নতা দেখা যায়। নানা সমালোচনার মধ্যেও মুখের হাসিটা অম্লান থাকে সব সময়। কোন কোন সময় রেগে যান, আবার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সামলে নেন। আসলে তার মুখে হাসিটাই যেন খুবই মানান সই।

ক্রিম কালারের পাঞ্জাবির ওপর কালো মুজিব কোট চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। তার ভেতর থেকে দেখা যাচ্ছিল তৃপ্তির হাসি।  হাতে খয়েরি রংয়ের ব্রিফকেস। এটার মধ্যেই রয়েছে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা যা তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন।|
 


এর আগে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুমোদন নেওয়া হবে।

এবারের বাজেট নানা দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে টানা ১০টি বাজেট দেওয়ার মত বিরল রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে এরশাদ সরকারের সমযে দেওয়া দুটি বাজেটসহ তার বাজেটের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টি। এই বাজেটের মাধ্যমে তিনি সাইফুর রহমানের রেকর্ড স্পর্শ করবেন। এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন গণতান্ত্রিক সরকার টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারেনি। এ দিক থেকে এবারের বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আগামী ডিসেম্বরে দেশে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা করতে যাওয়ার প্রাক্কালে রাইজিংবিডিকে বলেন, আল্লাহতালার কাছে হাজার শোকর আদায় করি। তিনি আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাকে জাতির সেবা করার অনন্য সুযোগ দিয়েছেন।
 


অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি জাতিকে হতাশ করিনি। চেষ্টা করেছি আমার সাধ্যমত সেবা করতে। আমি আজীবন জনগনের পাশে আছি থাকবো। 

তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এক বিরল অনুভূতি। আমার জীবনের সব পাওয়া পূর্ণতা পেয়েছে। আজকের বাজেটও যাতে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে সে দিকে নজর রাখা হয়েছে। তবে এ বাজেট বাস্তবায়নের জন্য আমরা মাত্র ছয় মাস সময় পাবো। পরবর্তীতে যে সরকার আসবে তাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে রেখে যাচ্ছি।

মুহিত বলেন, আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে নির্ধিদ্বায় বলা যায় আগামী নির্বাচনেও এদেশের জনগন আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে।

এরপরই তার গাড়ির বহর সংসদেও উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এসময় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তার পিএস সৈয়দ রাশেদুল হোসেন, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান, এপিএস তানভীর বাশার এবং অডিট অ্যান্ড এ্যাকাউন্টস অফিসার এবং অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম প্রামাণিক উপস্থিত  ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুন ২০১৮/হাসনাত/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়