ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ত্রাণে শিশু খাদ্য নেই, দুর্ভোগ

মোয়াজ্জেম হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০১, ১৮ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ত্রাণে শিশু খাদ্য নেই, দুর্ভোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের বাঁধ-রাস্তার উপর খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেওয়া বন্যাদুর্গত নারীদের জন্য শৌচাগার না থাকা, পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়া এবং ত্রাণে শিশুদের খাদ্য না থাকায় মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলার ভারপ্রাপ্ত ত্রাণ কর্মকর্তা সুজাদ্দৌলা বলেন, ১ লাখ ২ হাজার ৭৫০টি বন্যা দুর্গত পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ৩৮২ মেট্রিকটন চাল ও ১২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও ১৭০০ শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলার ৯৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৮ হাজার ৯৫৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পানি নামতে শুরু করায় তারা নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের ত্রাণ তৎপরতা দেখা গেলেও বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ও রাস্তার উপর অবস্থান করা বানভাসিদের ব্যবহারের জন্য শৌচাগার নেই। শিশুদের খাবার উপযোগী ত্রাণ নেই।

কুলাঘাট ইউনিয়নের পাকার মাথা বাঁধে অবস্থানকারী বানভাসিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শুক্রবার পর্যন্ত তারা ত্রাণ পাননি। মঙ্গলবার আরডিআরএস এনজিওর স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে তারা প্রত্যেকে এক প্যাকেট করে রান্না করা খিচুড়ি পাওয়ার কথা জানান। তারা আর কোনো সরকারি ত্রাণ পাননি।

ঘটনাস্থল থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ত্রাণ স্বল্পতার কথা স্বীকার করে বলেন, ১৫ মেট্রিকটন চাল কুলাঘাট ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বানভাসি মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। এ জন্য সকলকে একযোগে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু ত্রাণ বিতরণ চলমান রয়েছে, সেহেতু তারাও পাবে। তবে আরডিআরএসের খিচুড়ি বিতরণের সময় তিনি নিজে মনিটরিং করেছেন। 

জেলায় ৯৭টি বিদ্যালয়ে বানভাসি লোকজন আশ্রয় নিলেও সেখানে শৌচাগার, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শিশু খাদ্যের সংকট রয়েছে। বড়দের জন্য ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হলেও শিশুদের জন্য কিছুই দেওয়া হয়নি। এ সব শিশু শুধু মায়ের বুকের দুধের ভরসায় আছে এবং যেসব শিশু ভাত খাওয়া শুরু করেছে, তারা বড়দের খাওয়া খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। স্বাস্থ্য চিকিৎসার অবস্থাও করুন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাগজ-কলমে কিছু মেডিক্যাল টিম গঠন করলেও তাদের কোথাও চোখে পড়েনি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিশুদের প্রতি বিশেষ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেলার বন্যা কবলিত সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিশুদের জন্য সরকারি ত্রাণের ব্যবস্থা নেই। তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিশেষ ব্যবস্থা নেবেন।



রাইজিংবিডি/লালমনিরহাট/১৮ আগস্ট ২০১৭/মোয়াজ্জেম হোসেন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়