ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দুটি দূতাবাসে খোলা হচ্ছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার উইং

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০১, ৪ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুটি দূতাবাসে খোলা হচ্ছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার উইং

কেএমএ হাসনাত : রাশিয়ার মস্কো এবং অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে নিউক্লিয়ার পাওয়ার উইং খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন এবং তার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য দুই দূতাবাসে এ উইং দুটো খোলা হচ্ছে। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, শিগগিরই উইংগুলোতে একজন করে নিউক্লিয়ার অ্যাটাশে নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি এ উইংয়ের প্রধান হবেন। তারা রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ওই দেশের সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকা রাখবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রথম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যেই রাশিয়ার মস্কো এবং অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মকতা ও কর্মচারী নিয়োগের (বিশেষ বিধান) বিধিমালা-২০১৮ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য কোনো বাজেট নেই।

বিষয়টি জানিয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিউক্লিয়ার উইংয়ের ছয়টি অস্থায়ী পদের জন্য কোনো বাজেট নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমোদিত দুই দূতাবাসের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগামী নয় মাসের জন্য মোট ৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এডিপি বরাদ্দ ১১ হাজার ৯৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত আগস্ট মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত ছাড় হয়েছে মাত্র ৫২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

২০১০ সালের ২১ মে পাবনার ঈশ্বরদীতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিষয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকও সই করে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে রাশিয়ার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি সই করে সরকার।

চুক্তি বাস্তবায়নের সময়কাল ৭ বছর ধরা হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালের অক্টোবরে উৎপাদনে আসবে বলে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। নির্মাণের ৬০ বছর কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরু হলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।  



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ অক্টোবর ২০১৮/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ