ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দুর্নীতি মামলায় এরশাদের আপিলের রায় ঝুলে গেল

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ২৩ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুর্নীতি মামলায় এরশাদের আপিলের রায় ঝুলে গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা মামলায় সাজার বিরুদ্ধে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করেনি হাইকোর্ট।

রায় ঘোষণার আগে মামলার নথিপত্র দেখে আদালত বলেন, এরশাদের আপিল ছাড়াও সরকারের আরো দুটি আপিল বিচারাধীন রয়েছে। ওই দুটি আপিলে সরকার এরশাদের সাজা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছে। এ অবস্থায় নিম্ন আদালতের সাজার রায় বাতিলের জন্য এরশাদ যে আবেদন করেছে সেটির ওপর রায় ঘোষণা করলে তা যুক্তিসংগত হবে না। অতএব ন্যায় বিচারের স্বার্থে ৩টি আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি করে রায় দেওয়াটা হবে যুক্তিযুক্ত। এই বিবেচনায় ৩টি আপিলের ওপর প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হলো।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে এরশাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।

এর আগে গত ৯ মার্চ এ বিষয়ে আগামী ২৩ মার্চ রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য় করেছিলেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৩০ নভেম্বর দীর্ঘ ২৪ বছর পর দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিল শুনানি শুরু হয়।

দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু করতে উদ্যোগ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এর আগে ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।

১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তত্কালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন। আদালত আপিল গ্রহণ করে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন ও নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মার্চ ২০১৭/মেহেদী/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়