ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দৃষ্টিনন্দন ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়নে মুগ্ধ ক্রেতা-দর্শনার্থী

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দৃষ্টিনন্দন ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়নে মুগ্ধ ক্রেতা-দর্শনার্থী

আরিফ সাওন : এবারের বাণিজ্য মেলায় এত চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দনভাবে ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে, যা দেখে মুগ্ধ ক্রেতা-দর্শানার্থী।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়ন। সকাল-থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকছে এই প্যাভিলিয়ন।

ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বলছেন, সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে প্যাভিলিয়ন সাজানোয় মুগ্ধ তারা।

বাণিজ্য মেলার প্রধান গেট দিয়ে ঢোকার পরই চোখে পড়বে সুবিশাল তিন তলাবিশিষ্ট ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়ন। প্যাভিলিয়নের বাইরে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আকর্ষণীয় সেলফি কর্নার। প্যাভিলিয়নের ভেতরে প্রবেশ করে হাতের ডান পাশে রয়েছে ৯৮ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি ও ৭৫ ইঞ্চি ডিজিটাল টাচ বোর্ড, বাঁ-পাশে রয়েছে ট্রান্সপারেন্ট ডিসপ্লে। এই তিনটিই আপকামিং প্রোডাক্ট।

প্যাভিলিয়নে ঢুকেই দেখা যায়, এই পণ্য তিনটির সামনে উপচেপড়া ভিড়। তথ্যদাতাদের কাছে তথ্য জানার আগ্রহে ব্যাকুল রয়েছেন ক্রেতা-দর্শনার্থী।

৯৮ ইঞ্চি টিভি ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা গেল অনেককে।

 



এই পণ্য তিনটির পরে সারিবদ্ধভাবে পর্যায়ক্রমে সাজানো রয়েছে টিভি, ফ্রিজ, ওয়াটার ফিল্টার, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, টি-পট, মাইক্রোওয়েব ওভেনসহ গৃহস্থালী ও ইলেকট্রিক পণ্যসামগ্রী।

প্যাভিলিয়নের দ্বিতীয় তলায় শোভা পাচ্ছে মোবাইল, ল্যাপটপ, এসি, জেনারেটর এবং অত্যাধুনিক লিফট। যার সৌন্দর্যে মুগ্ধ ক্রেতা-দর্শনার্থী।

৯৮ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন রাশেদুল ইসলাম ও তার বন্ধু শামীম হোসেন। তারা রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে এসেছেন। রাশেদুল বলেন, বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নটাই সবচেয়ে সুন্দরভাবে সাজানো। বাইরে থেকেও দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে।

স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সাভার থেকে মেলায় এসেছেন মাহমুদুল আমীন সোহেল। ছোট মেয়ে ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়নের ভেতর ছোটাছুটি করছিল। এটা ধরছিল, ওটা ধরছিল। আর বাবা মেয়েকে সামলাতে ব্যস্ত। মাঝে মাঝে মেয়েকে ধরে কোলে তুলে আদর করছিলেন। তার মেয়ে যেন অন্য রকম আনন্দ পাচ্ছিল। মেয়ের আনন্দে বাবাও যেন অন্যরকম আনন্দ পাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, অন্য কোনো স্টল বা প্যাভিলিয়নে যাইনি। ওয়ালটন আমাদের পণ্য, দেশের পণ্য, ওয়ালটন দেশের গর্ব। আমরা ওয়ালটন নিয়ে সবসময় গর্ব করি। তাই সোজা ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নে এসেছি। বাসা থেকে পরিকল্পনা করে এসেছি ওয়ালটনের কিছু পণ্য কিনব।

 



তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন প্যাভিলিয়নটা সাজানো-গোছানো। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ও তথ্য প্রদানের দায়িত্বে যারা আছেন, তারও খুব কো-অপারেটিভ।

প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করে এক ব্যক্তি তার সঙ্গে থাকা আরেকজনকে বলছিলেন, ‘দেখেছ কী চমৎকার ডেকোরেশন। অন্য সবগুলোর চেয়ে আনকমন। সবচেয়ে আলাদা। সত্যিই আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে, ওয়ালটনই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’

ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার নাম কাজী হাবিবুর রহমান। তিন খিলগাঁও থেকে এসেছেন। তেমন কোনো কিছু কেনার পরিকল্পনা নেই। বাইরে থেকে প্যাভিলিয়নটি দেখে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেছেন। ভেবেছেন বাইরে থেকে দেখতে অনেক সুন্দর, ভেতরে না জানি কত সুন্দর! তাই প্যাভিলিয়নের ভেতরে এসেছেন। এসে দেখেন, সত্যিই দৃষ্টিনন্দন।

৯৮ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি দিকে হাত দিয়ে দেখিয়ে তিনি বলেন, এত বড় টিভি আর কখনো দেখিনি, মেলার যত জায়গা ঘুরেছি কোথাও এত বড় টিভি চোখে পড়েনি। কালার দেখেছেন! একেবারে ন্যাচারাল।

মিরপুর থেকে দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আসা মাহমুদা সুলতানা বলেন, ‘কেনাকাটা করতে পণ্য দেখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন। ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়নে মুভমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা আছে। আউটলুকিং চমৎকার। ওভারঅল প্রেজেন্টেশন ইজ ভেরি নাইস।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াব বলেন, ওয়ালটনের যা কিছু দেখছি, সবই প্রয়োজনীয়। সবই কিনতে ইচ্ছে করছে। প্যাভিলিয়ন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, একমাসের জন্য এত বড়, ঠিক একটা তিনতলা বাড়ি, ভাবাই যায় না!’

 



ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান বলেন, মেলার ইতিহাসে আমরাই প্রথম সর্ববৃহৎ প্যাভিলিয়ন করেছি। আয়তনের দিক থেকে ১৫ হাজার বর্গফুটের প্যাভিলিয়ন এর আগে মেলায় করা হয়েছে বলে মনে হয় না। আমরা একমাসের জন্য করলেও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেছি। এতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তার স্থায়িত্ব অনেক। একমাসের জন্য করলেও ৫০ থেকে ১০০ বছর টিকে থাকার মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। ডিজাইন-নির্মাণশৈলী চমৎকারভাবে করা হয়েছে বলেই ক্রেতা-দর্শনার্থী ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে এসে মুগ্ধ হচ্ছেন। এই মুগ্ধতার পেছনে ডিজাইনার ও ব্র্যান্ডিংয়ের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন, তাদেরও অবদান অনেক।

তিনি আরো বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ওয়ালটন বিক্রিতে এবং ভ্যাট প্রদানে শীর্ষে রয়েছে। আশা করি এবারও শীর্ষে থাকবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলা চলবে একমাস।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়