ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দেশ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তায় সক্ষম

আশরাফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ২১ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তায় সক্ষম

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই বাংলাদেশ খাদ্যনিরাপত্তার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করছে। আমরা এখন ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা দিতে সক্ষম।’

মঙ্গলবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাদ্যভবনে আয়োজিত ‘ঝুঁকিভিত্তিক খাদ্য পরিদর্শন প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এক সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। বর্তমানে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আর্জন করেছে। এখন আর উত্তরবঙ্গে মঙ্গা নেই।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যনিরাপত্তা মানুষের সাংবিধানিক আধিকার। আর এ আধিকার নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এতদিন নিরাপত্তার কাজটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সংস্থা বিচ্ছিন্নভাবে করে থাকত। এ সকল বিভিন্ন সংস্থার কাজকে সমন্বয় করার উদ্দেশ্যে এবং বিভিন্ন সংস্থাকে একই ছাতার নিচে আনার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। ১৮টি মন্ত্রণালয় এবং ৪৮০টি সংস্থা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত।’

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। আইনটি শ্রীলঙ্কা ও ভারতের আদলে তৈরি করা হয়েছে। সেসব দেশেও আইনটি কার্যকর করতে তিন থেকে চার বছর সময় লেগেছে। আমরাও কাজ গুছিয়েছি। ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে মোট আটটি ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেসব ল্যাবরেটরিতে খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষা করা হবে। এখন আমরা যে কাজটি করছি তা হলো প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা।’

মন্ত্রী উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর আপনাদের প্রথম কাজ হবে মানুষকে সচেতন করা। যারা ভেজালযুক্ত খাবার ও ভেজালযুক্ত পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা।’

বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ করেছি। এসডিজির লক্ষ্যও পূরণ করার পথে।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে মোট ১৩৬ জন পরিদর্শককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যারা প্রশিক্ষণ শেষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব কায়কোবাদ হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মার্চ ২০১৭/আশরাফ/হাসান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়