ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন

কুমার শুভ রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ২৩ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আরেক আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুরের সদর উপজেলার কালীকাঠী এলাকার শহিদুল ইসলাম ফরিদ মহাজনের ছেলে তছিলম হাসান বাপ্পি (১৯) ও একই এলাকার ইনছাফ আলী মহাজনের ছেলে ইমরান মহাজন (১৮)। সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- শহিদুল ইসলাম ফরিদ মহাজন (৪৫)। তিনি যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত তছিলম হাসান বাপ্পির বাবা।

তছলিম হাসান বাপ্পি ও ইমরান মহাজনকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের এক বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। শহিদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত অপর দুই আসামি তাসলিমা বেগম ও জলিল মহাজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খান মো. আলাউদ্দিন বলেন, ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি রাতে তছলিম হাসান বাপ্পি প্রতিবেশী এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ইমরান মহাজন মেয়েটিকে ধর্ষণে সহযোগিতা করেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মেয়েটির বাবা মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানতে পারেন মেয়েটি গর্ভে সন্তান রয়েছে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়া তসলিম হাসান বাপ্পির বাবা শহিদুল ইসলাম ফরিদ মেয়েটিকে ঢাকার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করেন। এত মেয়েটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর শহিদুল ইসলাম ফরিদ তার ছেলে তছলিম হাসানের সঙ্গে মেয়েটিকে বিয়ে না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই বছর ৩ জুন মেয়েটির বাবা পিরোজপুর সদর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।



রাইজিংবিডি/পিরোজপুর/২৩ এপ্রিল ২০১৭/কুমার শুভ রায়/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়