ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মজুরি বৃদ্ধির দাবি

না.গঞ্জে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভাংচুর

হাসান উল রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
না.গঞ্জে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিসিক শিল্প নগরীতে ফকির নিটওয়্যার নামে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি কারখানা ভাংচুর করেছে।

পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে।

সংঘর্ষে শিল্প পুলিশের একজন সহকারী পুলিশ সুপার, ফতুল্লা থানার ওসি ও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশত সাধারণ শ্রমিক আহত হয়েছে। 

বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এমভি নিট ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা মো. হাতেম জানান, উৎপাদন মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে ফকির নিটওয়্যার কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে তিন দিন ধরে অসন্তোষ চলছিল। মালিকপক্ষ মজুরি বৃদ্ধি করলেও দাবি অনুযায়ী বৃদ্ধি না হওয়ায় শ্রমিকরা রোববার কারখানার অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করে। এ অসন্তোষ নিরসনে কারখানার মালিকপক্ষ আজ সকালে বিসিক কর্তৃপক্ষ, বিকেএমইএ কর্তৃপক্ষ ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। তারা আগামীকাল বিভিন্ন কারখানার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎপাদন মজুরি সমন্বয় করার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা তা মেনে না নিয়ে বিসিকের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে বিক্ষোভ পুরো বিসিকে ছড়িয়ে পড়লে বিশেষ পোশাকধারী বহিরাগত শতাধিক যুবক এসে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সময় তারা বিসিকসহ আশপাশের ২০ থেকে ২৫টি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

বিসিকের এমভি নিটওয়্যার, নরসিংপুর এলাকার সাহিল গ্রুপ, হাজী হাসেম স্পিনিং মিল ও তারা স্পিনিং মিলে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অসংখ্য জানালার কাঁচ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। 

তিনি আরো জানান, উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক ও বহিরাগতরা মিলে শিল্প মালিকদের কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও ফতুল্লা থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এতে শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে শুরু হয় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ঘণ্টাব্যাপি দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার, ফতুল্লা থানার ওসি মঞ্জুর কাদেরসহ ৭/৮ জন পুলিশ সদস্য এবং অর্ধশত সাধারণ শ্রমিক আহত হয়। এ সময় পুলিশ বহিরাগতদের লাঠিচার্জ করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের কারণে বিসিক সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুব উন নবী জানান, পুলিশের উপর হামলা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও গাড়ি ভাংচুরে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। তাদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/৩ ডিসেম্বর ২০১৮/হাসান উল রাকিব/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়