ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

নাগরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিশুদের পাঠদান

শাহরিয়ার সিফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২০ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নাগরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিশুদের পাঠদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ঘুনী গজমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এটিই বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন। তাই ধসে পড়ার আতঙ্ক মাথায় নিয়েই ক্লাস করতে হচ্ছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মার্চে তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস চলার সময় বিমের একাংশ ধসে পড়ে জিহাদ, বৃষ্টি ও ইমরান নামে তিন শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কায় এই গরমেও ফ্যান ব্যবহার করতে পারছে না। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। দরজা, জানালা ভাঙ্গা, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, দেয়াল ও ছাদের আস্তর খসে পড়ছে।



বিদ্যালয়ের এমন নাজুক অবস্থার পরও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেননি। আর বিকল্প কোন ব্যবস্থা বা ভবন না থাকায় ঐ জরাজীর্ণ ভবনেই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

১৯৯৪ সালে নির্মিত ১১০ নং ঘুনী গজমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ভবন ২৪ বছরেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটি যে কোন সময় ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতে হয়। স্কুলে ১৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দিন দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিকল্প উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাবো তাও পারছি না।’



প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘দ্রুত ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হোক। আর যে পর্যন্ত নতুন ভবন না হবে সে পর্যন্ত বিকল্প কোন ব্যবস্থা করে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হোক।’

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকায় শীর্ষে এ বিদ্যালয়ের নাম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘুনী গজমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়টি আমি জেনেছি। খুব দ্রুতই নতুন ভবন নির্মাণে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। আর যে পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মিত না হবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে একটি টিনের ঘর তুলে বিদ্যালয়ের পাঠদান অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’



রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/২০ এপ্রিল ২০১৯/শাহরিয়ার সিফাত/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়